ন্যায্য বণ্টনব্যবস্থায় শিখাদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে

খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় লিখেছেন গওহার নঈম ওয়ারা (প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২২)

ওএমএসের মাধ্যমে ট্রাকে যখন যেখানে খুশি খাদ্যপণ্য বিক্রি করে খাদ্যসংকট কাটবে না; বরং দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার।

কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেন ১৯৮০ সালে তেতাল্লিশের মন্বন্তর নিয়ে একটা ছবি বানিয়েছিলেন। ছবির নাম ছিল আকালের সন্ধানে। সিনেমার শুটিংয়ের জন্য কলাকুশলীরা দল বেঁধে একটি গ্রামে যান। গ্রামের মানুষ প্রথমে অবাক ও সন্দেহের চোখে তাঁদের কাজকর্ম দেখে। এই ছবিতে ১৯৪৩ সালের সঙ্গে ১৯৮০ সালের ঘটনার অদ্ভুত একটা সম্পর্ক তৈরি হতে দেখা যায়। এরই সঙ্গে জড়িয়ে যায় গ্রামের একজন নারীর ভাগ্য। যার দৃষ্টিভঙ্গি ছবিটিতে একটি আলাদা মাত্রা যোগ করে।

এই সিনেমার কাহিনির সঙ্গে হয়তো কোনো মিল নেই; তবু চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিখা মালাকারের অকালমৃত্যু আমাদের মৃণাল সেনের সেই বিখ্যাত সিনেমার কথা মনে করিয়ে দেয়। সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় খোলাবাজারে বিক্রির (ওএমএস) লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।

জীবিকার প্রয়োজনে কাজের খোঁজে নোয়াখালী থেকে সস্ত্রীক চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গিয়েছিলেন তপন মালাকার। স্থায়ী কোনো কাজ তাঁর জোটেনি। সেখানে তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন। যেদিন যেমন কাজ পেতেন করতেন। মালাকার দম্পতি ভাড়া ঘরে থাকতেন। কাজ পেলে খাবার জোটে, না পেলে খেয়ে না খেয়ে দিন যায়। বাজারে সবকিছুতেই আগুন। তাঁর আয় খুব কম। তাই, সস্তায় পণ্য খুঁজতে হতো তাঁদের। ১৪ নভেম্বর স্বামী কাজে গেলে সস্তায় চাল-ডাল কিনতে শিখা মালাকার ওএমএসের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন।

কর্মসূচির নাম শুনে অনেকেরই মনে পড়বে প্রতিবন্ধীবিরোধী প্রাচীন বাংলা বাগ্‌ধারার কথা ‘কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন’। সস্তায় সরকারের খাদ্য কর্মসূচির এসব লাইন যে মোটেও নারীবান্ধব নয়, তা সবাই জানেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় থাকতে হয়। এভাবে ভোরে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে একসময় অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শিখা, জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাঁর জ্ঞান আর ফেরেনি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। কেউ জানে না, শিখা মালাকার কতক্ষণ না খেয়ে ছিলেন। তিনি কি কয়েক ঘণ্টা, সারা দিন বা তারও বেশি সময় না খেয়ে ছিলেন—সে হিসাব কে করবেন?

দেশের সর্বশেষ জনশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, এখন আমাদের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬। এত মানুষের মধ্যে একজন নারীর মৃত্যু কোনো ব্যাপার নয়। তা-ও আবার অন্য জেলা থেকে আসা ভাড়াবাড়িতে থাকা ‘দিন আনা দিন খাওয়া’ মানুষের স্ত্রী। তবে যে দেশে নারীদের গড় আয়ু এখন ৭৪ দশমিক ৫ বছর, সেখানে ৩৮ বছরের এক নারী নিত্যপণ্য কেনার আশায় ওএমএসের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে বেহুঁশ হয়ে সেখানেই মারা যাবেন, সেটা কি একালের তুচ্ছ কোনো ঘটনা? এর মধ্যে কি কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বা আসন্ন ঘনঘটার ইঙ্গিত নেই?

অপেক্ষায় গড়ে কত সময় লাগে
সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি থেকে নিত্যপণ্য কিনতে গেছেন, এমন মানুষের অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায়, ওএমএস থেকে কেনাকাটা করতে পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টা সময় লাগে। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে তিন ঘণ্টায়ও মিলে যেতে পারে চাল, ডাল, আটা, তেল। তবে খাদ্যের ট্রাক যে আসবেই, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। ভিড় এড়ানোর জন্যই নাকি এ ব্যবস্থা। যেদিন যেখানে মর্জি, ঝামেলা কম বলে মনে হবে, সেদিন সেখানে যায় ওএমএসের ট্রাক।

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পাড়ামহল্লা ঘুরে (১৭ নভেম্বর) তৈরি করা প্রথম আলোর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ওএমএসের পণ্য কিনতে মানুষকে ভোর থেকে অপেক্ষা করতে হয়। তারপরও চাল-ডাল পাওয়া যায় না। কোনো কোনো দিন ট্রাকই আসে না। ঠায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে শূন্য হাতে ফিরে যেতে হয়। চা ও পানের টং দোকান করে কোনোমতে সংসার চালান এমন এক নারী এসেছিলেন ওএমএসের পণ্য কিনতে। প্রথম আলোর প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘বাসায় এক মুঠো চাল নাই। দোকান ফেলে এখানে এসেছি। চাল নিতে পারলে দুপুরে রান্না হবে।’

রাজধানীর বাইরের অবস্থা আরও খারাপ। সম্প্রতি কুষ্টিয়া শহরে ওএমএসের নিত্যপণ্য কেনার জন্য প্রায় মাঝরাত থেকে মানুষকে জড়ো হতে দেখা যায়। অনেকেই ছয়-সাত কিলোমিটার দূর (লাহিনি বটতলা কর্মকারপাড়া) থেকে হেঁটে এসেছেন। রাত দুটোর দিকে বাড়ি থেকে হেঁটে এসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির লাইন ধরেছেন। এসব মানুষের অনেকেই সংসারের প্রবীণ ব্যক্তি। বেগার খাটার উপযুক্ত সময় তাঁদের! কিন্তু তাঁদের খিদে লাগে, প্রস্রাব-পায়খানা-তৃষ্ণা আছে। রাত দুইটা থেকে লাইন সোজা করে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে তাঁদের। তার পরেও সব দিন সবার চাল মেলে না।

কুষ্টিয়ায় গভীর রাতে ওই দৃশ্য দেখে সংবাদকর্মী রবিউল ইসলাম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কুষ্টিয়ার আড়ুয়াপাড়া চাউলের বর্ডার এলাকায় গভীর রাতে সকালে চাল-ডাল কিনতে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন অসহায় মানুষ। তার কারণ, তাঁরা সকালে ওএমএসের পাঁচ কেজি চাল ও তিন কেজি আটা নেবেন। এমন দৃশ্য চোখে দেখে নিজের মনকে আর বুঝ মানাতে পারলাম না। গরিব মানুষেরা দুই মুঠো খাবারের জন্য কত কষ্ট-অপমান সহ্য করছেন। অনেকেই পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার দূর থেকে এখানে এসেছেন। রাত দুইটা থেকে তাঁরা এভাবেই রাস্তার পাশে শীতের মধ্যে বসে আছেন।’

কী থাকে ওএমএসের ট্রাকে
ওএমএসের কর্মসূচির আওতায় প্রতি কেজি চালের দাম ৩০ টাকা আর আটা ১৮ টাকা ছিল। অবশ্য সেই আটার দাম এখন বেড়ে গেছে। গত রোববার থেকে ওএমএসে প্রতি কেজি আটা ৬ টাকা বাড়িয়ে ২৪ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। একেকজন ক্রেতা সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি চাল ও চার কেজি আটা কিনতে পারেন। সব মিলিয়ে এখন দাম পড়ে ২৪৬ টাকা। বাজার থেকে কিনলে একই পরিমাণ চাল ও আট কিনতে দ্বিগুণের বেশি টাকা গুনতে হয় (৫০০ টাকার বেশি)। তারপরও বলতে হয়, প্রতি কেজি আটায় একেবারে ৬ টাকা দাম বৃদ্ধি গরিব মানুষকে বিপাকে ফেলছে বৈকি।

রাজধানীর আজিমপুরে গত ১ সেপ্টেম্বরে খাদ্যমন্ত্রী দেশব্যাপী ওএমএস কর্মসূচি উদ্বোধনকালে বলেছিলেন, এই কর্মসূচির প্রভাবে সারা দেশে চালের দাম কমবে। প্রতি মাসে সরকারের খাদ্যবান্ধব এই কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষকে স্বল্প দামে তিন লাখ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হবে।

মন্ত্রী দাবি করেছিলেন, সরকারের গুদামে প্রায় ২০ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত আছে। ভবিষ্যতে আরও চাল-গম আমদানি করা হবে। দেশে চালের কোনো সংকট নেই। চালে কেউ অস্বাভাবিক মুনাফা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে এই কাজ খাদ্যমন্ত্রী তখনই করতে পারবেন, যখন কেউ মনিটর করে তাঁকে জানাবেন। কাজটি সাংবাদিকেরাও করেন বা করতে পারেন। ‘মিলে কী দরে চাল বিক্রি হচ্ছে, সেখান থেকে আড়তে তারা কী দরে বিক্রি করছে এবং আড়ত থেকে কিনে খুচরা বিক্রেতারা কত লাভে বিক্রি করছে’—এসব তথ্য নিয়ে সাংবাদিকেরা নানা সময় প্রতিবেদন করেন।

মন্ত্রী ওই দিন এ-ও বলেছিলেন, বাজারে বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হয় না।

সংকটের আলামত
যারা আকাল, খাদ্যসংকট ও দুর্ভিক্ষ নিয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা করেন, তাঁরা সংকটের কিছু সংকেত, আলামত বা সূচকের কথা বলেন। সংকটে পড়লে মানুষ কেনার জন্য সস্তা খাদশস্য খুঁজবে। এতে সস্তার লাইন দীর্ঘতর হবে, সবাই খাদ্যপণ্য পাবে না। না পাওয়ার ভয় আতঙ্কে পরিণত হবে। মানুষ খাওয়া খরচ কমাতে থাকবে। এরপরও মানুষের আয়ের বড় একটা অংশ খাওয়ার পেছনেই চলে যাবে। আপস করবে পুষ্টির সঙ্গে।

সংবাদমাধ্যমের নানা প্রতিবেদনে এসব আলামতের খবর প্রায় প্রতিদিনই আসছে। জাতিসংঘের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (এফএও) গত অক্টোবরে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশে খাদ্যনিরাপত্তা ও বিপন্নতা পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক জরিপভিত্তিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘নিম্ন আয়ের ৪২ শতাংশ পরিবারের জীবনযাত্রা এবং খাদ্য পরিস্থিতির সব ক্ষেত্রে অবনতি হয়েছে।

এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পরিবারের খাদ্য কেনার জন্য ৬৪ শতাংশ মানুষ ঋণ নিয়েছেন। ২৯ শতাংশ পরিবার তাদের সঞ্চয় ভেঙেছে। আবার খাবার কিনতে গিয়ে ১০ শতাংশ পরিবার তাদের গত ১২ মাসের সব সঞ্চয় ভেঙে ফেলেছে। সবচেয়ে চাপে আছে সিলেট ও বরিশাল বিভাগের মানুষ, সেখানে এই হার ৭৫ শতাংশ।

এফএওর প্রতিবেদন বলছে, মাছ, মাংস, সামুদ্রিক খাবারসহ পুষ্টিকর উপাদানসমৃদ্ধ খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে পারছে মাত্র ১৭ শতাংশ পরিবার। বাকিরা পারছে না।

গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) গত অক্টোবরে বলেছিল, মানুষ কম খাচ্ছে। গত ১৭ নভেম্বরে আরেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) বলছে, মানুষ বাধ্য হয়ে খাবারের তালিকা থেকে মাছ-মাংস বাদ দিচ্ছে। তাদের মতে, বর্তমানে অর্থনীতির বড় সংকট খাদ্যনিরাপত্তা ঝুঁকি। নিম্নমধ্যম আয়ের মানুষও নতুন করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এই সংখ্যা বাড়ছে।

সংকটের সমাধান কীভাবে
খাদ্যসংকটের এসব আলামত দেখে অর্থনীতির অনেক পণ্ডিত বলছেন, খাদ্যসংকট থাকবে, তবে ‘সেরাম’ কিছু হবে না। দুর্ভিক্ষ হলেও ‘ক্ল্যাসিক্যাল (ধ্রুপদি) দুর্ভিক্ষ’ বলতে যা বোঝায়, তা হবে না।

এখন সবচেয়ে বড় কথা হলো, সংকট ক্ল্যাসিক্যাল হোক বা আধুনিক, আমাদের সেটা মোকাবিলা করতে হবে। শিখা মালাকারের মতো আরেকজনের মৃত্যুর আগেই আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে। খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়ানোর কথা আমাদের শুনতে হবে। মন্ত্রীরা বাম্পার আমনের সুখবরের কথা শোনাচ্ছেন, কিন্তু দাম দিচ্ছেন না ধান-চালের।

উৎপাদনের পাশাপাশি ন্যায্য বণ্টনব্যবস্থা গড়ে তুলতে না পারলে, মানুষ ক্ষুধার্তই থেকে যাবে। মানুষ যাতে তার পছন্দমতো খাবার খেতে পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। অর্থনীতির ভাষায় এটাকে বলে আপামর জনসাধারণের খাদ্যের ‘ক্রয়ক্ষমতা অর্জন’। সব মিলিয়ে কথা হচ্ছে, দেশে খাদ্যনিরাপত্তা তখনই নিশ্চিত হবে, যখন মানুষ সহজে খাদ্যের নাগাল পাবে। ন্যায্য দামে খাদ্যপণ্য কিনে খাওয়ার ক্ষমতা না থাকলে যতই উৎপাদন বাড়ুক, মানুষ অপুষ্টি-অনাহার থেকে রেহাই পাবে না।

আশু সংকট নিরসনে সামাজিক সুরক্ষার পরিধি ও পরিমাণ বাড়াতে হবে। ট্রাকে ট্রাকে যখন যেখানে খুশি চাল, ডাল, তেল ও আটা বিক্রির বিরক্তিকর ও অপচয়মূলক মহড়া বন্ধ করতে হবে। এর পরিবর্তে একটা সহনশীল ও সম্মানজনক বণ্টনব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সেটি ওয়ার্ডভিত্তিক রেশনের ব্যবস্থা হতে পারে। সেই সঙ্গে বাজার তদারকিতে জোর দিতে হবে।

দেশি-বিদেশি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্বখাদ্য কর্মসূচির প্রতিবেদনগুলো আমাদের আমলে নিতে হবে। দ্রুত দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর একটা পথ খুঁজে বের করতে হবে। কেউ কেউ জরুরিভিত্তিতে একটা জাতীয় ‘ত্রাণ তহবিল’ গঠনের কথা বলেছেন। আবার অনেকে বলছেন, খণ্ড খণ্ড বা আপাতত (অ্যাডহক) প্রকল্পভিত্তিক পদক্ষেপ না নিয়ে একটা সার্বিক কৌশলপত্রের ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে। যেখানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও মানুষের মতামতের স্থান থাকবে। এটিই মনে হচ্ছে আমাদের টেকসই সমাধানা ও কল্যাণ বয়ে আনতে পারে। অন্যথায় দেশের সামগ্রিক পুষ্টি পরিস্থিতি, শিক্ষা কার্যক্রম, বাল্যবিবাহ এবং শিশুশ্রম পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *