নিম্নচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে মাছের ট্রলার ডুবি ও উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত

গত ১৮-১৯ আগস্ট ২০২২ তারিখে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে কমপক্ষে ২৬টি মাছের ট্রলার ডুবে যায়। ২৩ আগস্ট পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কলাপাড়ার মৌডুবি বয়া সংলগ্ন এলাকা, কক্সবাজার নাজিরারটেক এলাকা, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর, নোয়াখালীর হাতিয়া নিঝুম দ্বীপ সংলগ্ন এলাকা, বরগুনার তালতলী লালদিয়ার চর, পায়রা নদীর মোহনা, কক্সবাজার ফিশিং গ্রাউন্ড এলাকা, ভোলার লর্ড হার্ডিঞ্জ এলাকাসহ ইন্ডিয়ার সীমান্তবর্তী বঙ্গোপসাগরে এইসব ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এই ট্রলারগুলির মধ্যে ১২ টি ট্রলারের সন্ধান পাওয়া গেলেও বাকিগুলো এখনো নিখোঁজ রয়েছে। ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো থেকে এখন পর্যন্ত মোট ২৩৬ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে যার মধ্যে ৪৩ জনকে ইন্ডিয়ার কোস্টগার্ড উদ্ধার করেছে। মোট ১০৫ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫ জনের মৃতদেহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া গেছে। উদ্ধার অভিযান চলছে। ইন্ডিয়ায় উদ্ধারকৃত ৩২ জনকে পশ্চিম বাংলার কাকদ্বীপ আশ্রয়কেন্দ্রে এবং ১১ জন রায়দীঘিতে সুন্দরবন ফিশারম্যান ও ফিশ ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কার্যালয়ে হেফাজতে আছে।

এর আগে ১১-১৪ আগস্টে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হয়। এই সময়ে বরিশালের চরবাড়িয়া, পায়রা নদী সংলগ্ন আমতলী ফেরীঘাট, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ, চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, নোয়াখালীর কবিরহাট, খুলনার কয়রা বেড়িবাঁধ ও রূপসা ঘাট সংলগ্ন এলাকা, বরগুনা পটুয়াখালী, পিরোজপুরের নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত হয়।

এই ভাদ্র মাসের পূর্ণিমার প্রভাবে আগামী সেপ্টেম্বরের ৯-১২ তারিখের দিকে জোয়ারের পানি আবার বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা রয়েছে। যদি এখন থেকেই যথাযথ প্রস্তুতি না নেয়া হয় তাহলে দেশের উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল সমূহ পুনরায় প্লাবিত হবার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

গত পূর্ণিমা ও আসন্ন পূর্ণিমায় জোয়ারের পানির সর্বোচ্চ উচ্চতা

এলাকাআগস্ট ১১-১৪সেপ্টেম্বর ৯-১২
খুলনা১১.৪৮ ফুট১০.৬ থেকে ১১.৩ ফুট
চট্টগ্রাম১৫.৭১ ফুট১৪.৫ থেকে ১৫.১ ফুট
বরগুনা১০.৯ ফুট১০.৪ থেকে ১০.৮ ফুট

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *