বঙ্গবাজারে অগ্নিকান্ড: ঈদের আগে জীবিকার সম্বল পুড়ে ছাই

পরিস্থিতি প্রতিবেদন ০৫ এপ্রিল ২০২

বঙ্গবাজারে অগ্নিকান্ড: ঈদের আগে জীবিকার সম্বল পুড়ে ছাই

আবারও ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের সাক্ষী হলো বাংলাদেশ

ছবি সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক

ঢাকার বঙ্গবাজারে ৪ এপ্রিল ২০২৩ সালে সকাল ৬.১০ ঘটিকায় স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে বঙ্গবাজার এবং এর আশেপাশের ছয়টি মার্কেট পুড়ে যায়। পরবর্তীতে পাশের পুলিশ হেডকোয়ার্টারের পাঁচতলা ভবনেও এই আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৫০টি ইউনিট, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌ-বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নও (র‍্যাব) এবং সাধারণ জনগণের চেষ্টায় ছয় ঘণ্টা পর দুপুর ১২.৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয়। এতে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যসহ মোট ১২ জন আহত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই অগ্নিকান্ডের ফলে জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯ সকাল ১০টা থেকে ৯ ঘন্টার জন্য বন্ধ থাকে। উৎসুক জনতা, পানির স্বল্পতা ও বাতাসের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে এতো বেশি সময় লাগার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে ফায়ার সার্ভিস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের পুকুর থেকে এবং বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে ওপর থেকে অগ্নিনির্বাপনের চেষ্টা করা হয়েছে।

আগুনের সূত্রপাত এবং ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো (০৫ এপ্রিল) পর্যন্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের তথ্যমতে এই অগ্নিকান্ডে প্রায় ৫ হাজার দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি’র তথ্য অনুযায়ী এই অগ্নিকান্ড প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাড়ে ১৪ কেজি করে খাবার (চাল, ডাল, তেল ও মসলা) এবং ক্ষতিপূরণ হিসেবে আহতদের ১৫ হাজার টাকা প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

কমিটি গঠন

ফায়ার সার্ভিস আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে পরিচালককে (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) সভাপতি করে ৫ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেও বঙ্গবাজারে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে ৮ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

তথ্যসূত্রঃ দৈনিক পত্রিকাসমূহ ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *