ভরা কাটালের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি ও জলাবদ্ধতার সম্ভাবনা

সতর্কবার্তা, ২০ আগস্ট ২০২১

গত ৬ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ অমাবস্যায় মরা কাটালের প্রভাবে চট্টগ্রামে জোয়ারের পানি ১৪ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল যা স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে ৯ ফুট বেশি ছিল এবং খুলনার পশুর নদীতে ৬ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল যা স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে ৮ ফুটের মত বেশি ছিল। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, খুলনা এবং উপকূলীয় অঞ্চলগুলি জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এছাড়া জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে শরীয়তপুর জেলার চরাঞ্চলের স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনাতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল যা বিভিন্ন পত্রিকায় এসেছে।

পূর্ণিমার সময়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেতে পারে

২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ভাদ্রের জোয়ারের (ভরা কাটাল) জন্য উপকূলীয় অঞ্চল জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে। ‘টাইডাল ফোরকাস্ট ডটকম’-এর তথ্য অনুযায়ী পূর্ণিমার প্রভাবে আজ ২০ সেপ্টেম্বর থেকে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে যা ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকবে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে আজ (২০ সেপ্টেম্বর ২০২১) বেলা ১২টার সময়ে জোয়ারের উচ্চতা ১৩.৮৮ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে (স্বাভাবিক জোয়ারের সময় ৮ ফুটের মত থাকে) এবং আগামীকাল অর্থাৎ, ২১ সেপ্টেম্বর ১৪ ফুটের ওপর বৃদ্ধি পাবে। আর খুলনার পশুর নদী অঞ্চলে আজ (২০ সেপ্টেম্বর,২০২১) জোয়ারের উচ্চতা ছিল সাড়ে দশ ফুটের মত যা আগামীকাল অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর দাঁড়াবে ১১ ফুটে (স্বাভাবিক জোয়ারের সময় ৭ ফুটের মত থাকে)।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)-এর তথ্য মতে, বর্তমানে পদ্মা নদীর সুরেশ্বর পয়েন্টে পানি বিপদসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, খুলনার পশুর এবং রূপসা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং মেঘনা নদী দৌলতখান ঘাটে বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা জোয়ারের ফলে বৃদ্ধি পেতে পারে এবং শরিয়তপুরসহ অন্যান্য উপকূলীয় অঞ্চলে জলস্ফীতির সৃষ্টি করতে পারে। তাই উপকূলীয় অঞ্চলের বেড়ীবাঁধগুলোর ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *