সন্দ্বীপবাসীর কান্না কি কেউ শুনতে পাচ্ছে

দুর্গম চরের জীবন নিয়ে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় লিখেছেন গওহার নঈম ওয়ারা (প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৩)

সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ, উন্নত জেটি, পাকা বেড়িবাঁধ, সারি সারি মার্কেট, ফলের দোকান দেখে মনে হতে পারে ক্রমেই যেন স্বর্গে পরিণত হচ্ছে সন্দ্বীপ। কিন্তু এসবের পেছনে আছে অন্য চিত্র।

সীতাকুণ্ডের কুমিরার ঘাটে এসে সন্দ্বীপের নৌকায় উঠলেই আমার মনে পড়ে দোহা থেকে ঢাকাগামী বিমানের এক সহযাত্রীর কথা। বুকপকেটে রাখা দুটি শিশুর ছবি তিনি বারবার দেখছিলেন আর পকেটে রাখছিলেন। কখনো রুমাল বের করে চোখ মুছছিলেন।

আমি বলি, ‘ছেলেমেয়ের জন্য মন খারাপ?’ ওদের মিস করছেন? এই তো ঘণ্টা তিনেক পরেই তাদের ঢাকা এয়ারপোর্টেই দেখতে পাবেন। আপনার দেশ কোথায়? সহযাত্রী বড় একটা দম নিয়ে কোনোমতে বললেন, ‘সন্দীপ।’ বলেই জোরে কেঁদে উঠলেন, ‘চাচ্চু আহা হা।’ আমি অপ্রস্তুত।

পানীয় দিতে আসা বিমানকর্মী আমার দিকে বিস্ময়ের চোখে তাকিয়ে থাকেন। তাঁর ধারণা, আমার আচরণে যাত্রী আঘাত পেয়েছেন। আমি সহযাত্রীর পিঠে হাত রাখি।

একটু থিতু হয়ে সহযাত্রী জানান, ২০১৭ সালের ২ এপ্রিলের এক মর্মান্তিক ঘটনা। প্রবাসী চাচার বিয়েতে চট্টগ্রামের কুমিরা থেকে একটি নৌযানে (সি ট্রাক) সন্দ্বীপ যাচ্ছিল ভাই-বোন। সঙ্গে ছিল বর চাচা, ছোট চাচা আর শিশু দুজনের মা। সেদিন নদী ছিল খুব উত্তাল। বিকেল পাঁচটার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাট থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটের উদ্দেশে দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে রওনা দেয় নৌযান। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ঘাটের কাছে এসে তারা পৌঁছায়।

চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। তার ওপর বাতাস ও ঢেউয়ের মধ্যেই যাত্রীদের নৌযান থেকে নৌকায় (লাল বোট) ঝুঁকি নিয়েই নামতে হচ্ছিল। এমন সময় হঠাৎ করেই নৌকাটি উল্টে যায়। শিশুদের আর্তনাদ ‘চাচ্চু, বাঁচাও বাঁচাও!’ শুনতে পেলেও আমার সেই সহযাত্রী তাঁর ভাইপো-ভাইঝিকে বাঁচাতে পারেননি। বিভীষিকাময় সেই ঘটনা তাঁকে এখনো তাড়া করে ফেরে।

জীবন থেমে থাকে না। কিন্তু তিনি ঘটনাটা ভুলতে পারেন না। করোনার পর দেশে ফিরছেন। সবাইকে পাবেন, কিন্তু চাচ্চু বলে ভাইপো-ভাইঝি আর ছুটে আসবে না। সেই ঘাটে এখন দুটি জেটি। আলোর অভাব নেই। মেয়াদোত্তীর্ণ স্পিডবোটেও এখন চাইলে লাইফ জ্যাকেট পাওয়া যাবে। বড় নৌযান (শিপ) চলাচল করে। ফেরির চলাচলের কাজ চলছে।

সবকিছু ছাপিয়ে সন্দ্বীপের সবচেয়ে সুখবর হচ্ছে দ্বীপটি আর ভাঙছে না। পশ্চিম পাশে চর জেগেছে, যার আয়তন প্রায় বর্তমান সন্দ্বীপের সমান। প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার। ঠ্যাংগারচর বা ছ্যাঙ্গারচর যার কেতাবি নাম এখন ভাসানচর, সেটাও মূলত সন্দ্বীপেরই অংশ। অনেক আগেই মূল ভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জেগেছে এই ভূমি। আয়তনে ২৫ বর্গকিলোমিটার। সন্দ্বীপ থেকে ভাসানচরের দূরত্ব মাত্র প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। যাতায়াত সময় ১ ঘণ্টারও কম।

জায়গাটি ছিল মূলত নদীতে ভেঙে যাওয়া সন্দ্বীপের ন্যায়মস্তি ইউনিয়নের অংশ। দূরে জেগে ওঠা উরিরচরকে সন্দ্বীপের হিস্যায় দেওয়া হলেও কাছের ঠ্যাংগারচর চলে যায় নোয়াখালী তথা হাতিয়া উপজেলার প্রযত্নে। সন্দ্বীপের মানুষ মনে করেন, এটা একটা অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত। তারা বারবার সভা-মানববন্ধন করে মিছিল করে ভাসানচরকে সন্দ্বীপের অন্তর্ভুক্ত করে সেখানে ন্যায়মস্তি ইউনিয়নের নদী শিকস্তি পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে আসছে অনেক দিন ধরে।

সেই দাবি দূরে থাক, সন্দ্বীপবাসী আরও হতাশ হয়েছে ভাসানচরকে রোহিঙ্গাদের আবাসে পরিণত করায়। ইতিমধ্যেই সন্দ্বীপবাসীর আশঙ্কা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আটকে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ভাটার সময় স্রেফ সাঁতরে অনেকেই কাজের সন্ধানে বা অন্য কোনো কারণে চলে আসার চেষ্টা করছে সন্দ্বীপ বা নানা চরে। গত ৪ সেপ্টেম্বর সকালে সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন এ রকম চারজন রোহিঙ্গা আটক হয়। ধরা পড়া চারজনই প্রথম বা শেষ রোহিঙ্গা নন।

রোহিঙ্গারা কেন সন্দ্বীপের দিকে তাকাচ্ছে
দেশের যেসব অঞ্চলে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সের বাড়বাড়ন্ত, সেসব জায়গায় দিনমজুরের বড়ই আকাল। সন্দ্বীপে এখন ৮০০ টাকার নিচে দিনমজুর পাওয়া কঠিন। রমরমা ইটভাটাতেও স্থানীয় কেউ কাজ করে না, প্রায় সবাই বাইরের শ্রমিক। মাঠের পর মাঠ অনাবাদি পড়ে আছে। লবণাক্ততায় জেরবার সাতক্ষীরা, কয়রা, দাকোপ, গাবুরা, পদ্মপুকুরে এমন দৃশ্য কদাচিৎ মিলবে কি না সন্দেহ।

সেখানে লবণাক্ততার অজুহাতে জমি কেউ ফেলে রাখতে চায় না। কাজ আর ভালো মজুরির আশায় তারা ঝুঁকি নিয়ে ভাসানচর থেকে ভেসে ভেসে আসছে। অবৈধ শ্রমিকেরও একটা অর্থনীতি আছে। এ রকম শ্রমিকের কদর সব দেশে সব কালে ছিল, আছে। এদের কম মজুরিতে বেশি খাটানো যায়। ধরা পড়ার ভয়ে এরা টুঁ শব্দ করে না। মালিকের লাভেলাভ।

মালয়েশিয়ার পামবাগান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের শপিং মল সব জায়গায় ‘নথিহীন’ বেওয়ারিশ শ্রমিকের বাজার আছে। সন্দ্বীপে যত অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে, সন্দ্বীপ যতই মূল ভূখণ্ডের কাছে আসবে, ততই আটকে পড়া বেরোজগারদের টানবে সন্দ্বীপ। রোহিঙ্গারা সে ডাকে সবার আগে সাড়া দেবে।

ন্যায্যতার সঙ্গে সন্দ্বীপের সীমানা নির্ধারণ
সন্দ্বীপের সঙ্গে নোয়াখালীর (কোম্পানীগঞ্জের) সীমানা বিরোধ অনেক দিনের। ইতিহাস বলছে, ১৭৭০ সাল পর্যন্ত ঢাকার সঙ্গে সন্দ্বীপ যুক্ত ছিল। ১৭৮০ সালের কৃষক বিদ্রোহ দমন সহজ হবে বিবেচনায় চট্টগ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয় সন্দ্বীপকে। এর প্রায় ১০০ বছর পর ১৮৮২ সালে নতুন ভুলুয়া (নোয়াখালী) জেলা গঠিত হলে সন্দ্বীপকে তার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

দ্বীপবাসী ভুলুয়া বা নোয়াখালীর অন্তর্ভুক্তি মেনে নিতে পারেনি। যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে (১৯৫৪) সন্দ্বীপের ভুলুয়া ত্যাগ করে চট্টগ্রামে ফিরে যাওয়া একটা প্রধান ইস্যু হয়ে ওঠে। যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হোসেনের বিজয়ের মাধ্যমে চট্টগ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত হলেও সন্দ্বীপ ভূখণ্ডের বৃহৎ একটি অংশ নোয়াখালীর সঙ্গে থেকে যায়। এটি সন্দ্বীপের মানুষের মনে একটা স্থায়ী কষ্টের দাগ হয়ে আছে।

জেগে ওঠা ভূমি—ভাসানচর, জাহাজি চর (স্বর্ণদ্বীপ) সন্দ্বীপের সঙ্গে সংযুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে আসছে সন্দ্বীপবাসী। গত তিন বছরে এই আন্দোলন আরও বেগবান হয়েছে। কয়েক বছর আগে সন্দ্বীপ-নোয়াখালী ভূমি বিরোধ নিরসনের পদক্ষেপ হিসেবে সন্দ্বীপ ঘুরে যান ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। দিয়ারা জরিপের মাধ্যমে সন্দ্বীপ নোয়াখালীর সীমানা নির্ধারণের জন্য আন্দোলনের পাশাপাশি আইনি লড়াই অব্যাহত আছে।

এ-সংক্রান্ত একটি মামলা হাইকোর্টে নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষমাণ। সীমানা নির্ধারণ মামলার রিট আবেদনকারী মনিরুল হুদা (সাবেক ক্ষেতমজুর সমিতি) বলেন, ‘দিয়ারা জরিপের মাধ্যমে সন্দ্বীপের ৬০ মৌজার বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে ২০১৮ সালে হাইকোর্ট মামলা করি। জেগে ওঠা ভূমির ২২ মৌজার অবস্থান চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলায়। আদালতের রুল অনুযায়ী গেজেট প্রকাশ স্থগিত না করে অবিলম্বে চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার নামে ঘোষণা করা আমাদের ন্যায্য দাবি।’

কেমন আছে সন্দ্বীপবাসী
ফেরি, উন্নত জলযান, সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ, উন্নত জেটি, পাকা বেড়িবাঁধ, সারি সারি মার্কেট, ফলের দোকান দেখে মনে হতে পারে ক্রমশ যেন স্বর্গে পরিণত হচ্ছে সন্দ্বীপ। আনিস খলিফার জমি নেই। তাঁর বাপ-দাদার জমির দখল পাচ্ছে না। খাজনা হালনাগাদ করছে না কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের যুক্তি খুবই স্বচ্ছ। চর জেগে উঠলেই হবে না।

পাঁচ ফুট উঁচু না হলে তা বসবাসের উপযোগী হয় না। তাই মানুষের কাছে যতই দাগ খতিয়ান পর্চা দলিল থাকুক না কেন, ওই জমি এখন খাস। বসবাস ছাড়াও মানুষের চাষের জমি থাকে। নিচু বা নামা জমিতে সে চাষবাস করে। প্রকৃত উত্তরাধিকারকে সে জমি বুঝিয়ে দিতে আইনে বাধা থাকলে সেটা আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। একসময় এই অঞ্চলে ক্ষেতমজুর সমিতি ভূমিহীনদের মধ্যে খাসজমি বন্দোবস্তের ক্ষেত্রে বেশ জোরালো ভূমিকা রেখেছিল।

এখনো উরিরচরে তাদের নাম-নিশানা আছে। খাসজমি বরাদ্দের একটা নীতিমালাও দেশে কার্যকর আছে। সেই নীতিমালার আলোকে হলেও প্রকৃত সন্দ্বীপবাসী ভূমিহীনদের মধ্যে এসব জমি বরাদ্দ করা না গেলে ভুল মানুষের হাতে পড়ে যাবে।

অভিযোগ গুরুতর
সম্প্রতি সন্দ্বীপের গাছুয়া ইউনিয়নে দুজনের বিরুদ্ধে খাসজমি দখল করে অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত দুজনের রাজনৈতিক পরিচয় আছে। ক্ষতিগ্রস্ত তিন স্থানীয় বাসিন্দা কথিত দুই নেতার বিরুদ্ধে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের গাছুয়া মৌজার বিএস ২৬০১ দাগের ৫৪ ও ৫৫ নম্বর প্লট তাঁদের পূর্বপুরুষের। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৭ সালে হওয়া বিএস জরিপের সময় ওই জমি খাস খতিয়ানে চলে যায়। তবে প্লট দুটি এত দিন তাঁদের দখলেই ছিল। সম্প্রতি অভিযুক্তরা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে জমিগুলো বিক্রি করার চেষ্টা করেন।

সংবাদকর্মীরা জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন, অভিযুক্তরা কয়েকজন লোককে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে জমি বন্দোবস্তের জন্য একাধিক আবেদন করেছেন। আবেদন গ্রহণ করা হলেও বন্দোবস্ত দেওয়া হয়নি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ গুরুতর। তাই এ বিষয়ে শুনানির জন্য বাদীপক্ষ ও অভিযুক্ত—দুই পক্ষকে নোটিশ পাঠানো হবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রবাসীদের আস্থা বাড়াতে হবে
বাংলাদেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স যাঁরা পাঠান, তাঁদের একটা বড় অংশ সন্দ্বীপের প্রবাসী জনগোষ্ঠী। সন্দ্বীপের মানুষ নিউইয়র্ক, লন্ডন, মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়াসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই কমবেশি আছে। নিউইয়র্কে সন্দ্বীপের গ্রাম ইউনিয়নভিত্তিক সমিতি আছে, যেমন মুছাপুর, মাইটভাঙ্গা সমিতি! একজন রাজনৈতিক নেতা জানান, এরা নাকি দুই হাজার কোটি টাকা পাঠায় প্রতি মাসে।

টাকার পরিমাণ বেশি হোক বা কম এসব রেমিট্যান্সের সুবিধাভোগীরা এবং প্রেরণকারীরা সন্দ্বীপে থাকতে চান না। বাড়িগুলোও খাঁ খাঁ করে। বেশির ভাগ ঘরেই তালা ঝোলে। বাসিন্দারা হয় বিদেশে অথবা সপরিবার চট্টগ্রামে বা ঢাকায় থাকে। প্রবাস থেকে দেশে এলেও সন্দ্বীপে থাকতে ভয় পান অনেকে। যাতায়াতের অনিরাপদ ব্যবস্থা ছাড়াও চুরি-ছিনতাইয়ের ভয় দিন দিন বাড়ছে।

গত জানুয়ারি মাসে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রথম আলোকে বলেছিলেন, চুরির কারণে প্রবাসীরা বেশ অতিষ্ঠ। চুরি কোনোমতেই ঠেকাতে পারছে না পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা সভায় এসব নিয়ে কথা বলার পর দু-একজন গ্রেপ্তার হয়। কিন্তু গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা কয়েক দিন পর জেল থেকে জামিনে বের হয়ে আবারও চুরি করে। জানুয়ারি মাসে আইনশৃঙ্খলা সভায় প্রতিটি বাজারে বাধ্যতামূলকভাবে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

বাড়ছে মাদক
মাদক বিশেষত ইয়াবা সহজেই পাওয়া যায়। ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা মার্কেটগুলোতেই ছোট ছোট দোকানে এসব পাওয়া যায় বলে অভিযোগ করলেন কয়েকজন। অনেকেই রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় সন্ত্রাসী তৎপরতার পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছে মাদক সেবন, কেনাবেচা সবকিছু।

কক্সবাজার থেকে নাকি নদীপথে মাদক সন্দ্বীপ হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকের মতে, সন্দ্বীপ ক্রমেই মাদক চোরাচালানের একটি রুট হয়ে উঠছে।

তবে সবার আগে জমির বন্দোবস্ত
সন্দ্বীপবাসীর দাবি, পশ্চিম পাশে জেগে ওঠা খাসজমি দৈরাভাঙা (নদীভাঙা) ভূমিহীনদের মধ্যে বণ্টন করা হোক। রহমতপুর, আজিমপুর, মুছাপুর, কালাপানিয়া, মাইটভাঙ্গা, মগধরা, সারিকাইত, দীঘাপাড় প্রভৃতি এলাকায় নদীভাঙনের ফলে মানুষের অসহায় অবস্থা দূর করার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ন্যায্যতার সঙ্গে সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে।

Leave a Reply