সম্ভাব্য উপকূলীয় ঝড়ের খবর

পরিস্থিতি প্রতিবেদন-৮ ০২ মে ২০২৩

মার্কিন গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম ধারনা অনুযায়ী আগামী ৯ মে থেকে ১১ মে’র মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে। কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ু বিভাগে অধ্যায়নরত একজন বাংলাদেশি গবেষক গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেমের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মনে করছেন ১১ থেকে ১৫ মে’র মধ্যে ঝড়টি এটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে। সূত্রটির সর্বশেষ বর্ণনা অনুসারে, ১১ মে মধ্যরাতের পর থেকে ১৩ মে’র মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলে দিকে ধেয়ে আসতে পারে আবার ইণ্ডিয়ার ওড়িশা রাজ্যের দিকেও চলে যেতে পারে। উপকূলে আঘাত হানলে বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ থাকতে পারে ১৫০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হলে নাম হবে ‘মোচা’। নামটি দিয়েছে ইয়ামেন।


সরকারিভাবে কোনো পূর্বাভাস এখনও মেলেনি। বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস, ইণ্ডিয়ার মৌসম বিভাগ বা আলিপুর আবহাওয়া দফতর এই সংক্রান্ত কোনো সম্ভাবনার কথা এখনও ব্যক্ত করেনি। বেশিরভাগ আবহাওয়াবিদের মতে কথিত সময় একটি স্টিস্টেম তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তবে সেই বিষয়ে এখনই কিছু বলার মত পরিস্থিতি নেই।


ঝড়ের কারনে সৃষ্ট জোয়ারের উচ্চতার হিসাব করার সময় আমাদের পূর্ণিমা (৫ মে) এবং অমাবস্যা (১৯ মে) আর জোয়ার ভাটা সময়টা বিবেচনায় রাখতে হবে। ১৪ মে সন্ধ্যার পর যদি ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাত হানে তাহলে বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চর এবং উপকূলীয় এলাকায় কমপক্ষে ১০ ফুট পর্যন্ত উঁচু জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি যদি ১৭ বা ১৮ মে আঘাত হানে তাহলে ওই এলাকায় ১৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা থাকছে।


হালনাগাদের জন্য এই লিংটা দেখতে পারেন https://www.youtube.com/watch?v=I8kd5ob6goo

ছবি: বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম

Leave a Reply