অনুদানের গবাদিপশু ঝটপট মরছে কেন

গবাদিপশু নিয়ে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় লিখেছেন গওহার নঈম ওয়ারা (প্রকাশ: ৮ জানুয়ারি ২০২৩)

উত্তরাঞ্চলে সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীদের সরকার গবাদিপশু দেয়। কিন্তু এসব পশু মরে যাচ্ছে। রুগ্‌ণ ও হাড্ডিসার অবস্থা মৃত্যুর অন্যতম কারণ হতে পারে।

আঁতকে উঠবেন না। এটি খুলনা নয়, উত্তরাঞ্চলের খবর। ছাগল বিতরণ অনুষ্ঠানে কোনো মন্ত্রীও ছিলেন না। অতএব ছাগল মরে যাওয়ার সংবাদ পরিবেশনের ‘অপরাধে’ চৌদ্দ শিকেতে চালান হওয়ার আশঙ্কা খুবই চিকন। তা ছাড়া এবারের মৃত প্রাণীগুলোর বেশির ভাগই মেষ, ছাগল নয়। খুলনার ডুমুরিয়ার সেই ঘটনা যাঁদের মনে নেই অথবা জানা নেই, তাঁদের জন্য বলে রাখি, ২০১৭ সালের ২৯ জুলাইয়ে প্রতিমন্ত্রীর বিতরণ করা ছাগল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মারা গেছে, এমন খবরের লিংক ফেসবুকে শেয়ার বা ভাগাভাগি করেছিলেন স্থানীয় সাংবাদিক আবদুল লতিফ মোড়ল। তাঁর সেই পোস্টের সূত্র ধরে মন্ত্রিভক্ত আরেক সাংবাদিক সুব্রত ফৌজদার মন্ত্রীর কথিত মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ এনে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা ঠুকে দেন।

মন্ত্রিভক্ত স্থানীয় সাংবাদিকের অভিযোগ দায়ের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই লুফে নেন কোতোয়ালরা। তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দু-একটা মামলা না হলে থানার ইজ্জত বাড়ে না। আর সেই মামলা ঘিরে রবীন্দ্রনাথের শ্যামা নৃত্যনাট্যের অনুকরণে খাম্বাজ রাগে কাহারবা তালে কঠোর পদক্ষেপে না গেলে ইজ্জতের বাতিতে রোশনাই আসে না। তাই রাত আড়াইটার দিকে আবদুল লতিফের বাড়ির দেয়াল টপকে কোতোয়ালরা সদলবল ঢুকে পড়েন। তাঁকে ঘুম থেকে উঠিয়ে আটক করে থানায় নিয়ে যান তাঁরা।

পরদিন বিবিসি বাংলা আবদুল লতিফের কিশোরী কন্যা মিম্মাকে রাতের ঘটনা সম্পর্কে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘রাত আড়াইটার দিকে আমার আব্বুকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ ছিল, আমাদের ডুমুরিয়া থানার ওসি ছিল, আরও ২০-৩০ জন এসেছিলেন। দেয়াল টপকে তাঁরা বাড়ির ভেতর ঢোকেন। তাঁরা আমার রুমেও জোরে জোরে নক করেন। আমি জানতে চাই, ওনাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন? তখন আমাকে বাজেভাবে বলা হয়, কোথায় নিয়ে যাচ্ছি, সেটা আপনার মায়ের কাছ থেকে জেনে নিয়েন।’

মিম্মার মাকে কোতোয়ালরা অবশ্য শ্যামা নৃত্যনাট্যের ভঙ্গিতে বলে যান, ‘দুই দিন কারাগারে রবে/ তারপর যা হয় তা হবে।’

বলা বাহুল্য, সেটা ছিল বাত কি বাত। দুই দিন গত তো হয়েছেই, দুই মাসেও আবদুল লতিফের কারাগারের তালা খোলেনি। বিবিসি ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে তখন আর কেউ তেমন একটা নাড়াচাড়া করেনি। তারা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দেরও সাক্ষাৎকার নিয়েছিল (বিবিসি বলেই বোধ হয় প্রতিমন্ত্রী রাজি হয়েছিলেন)। বিবিসির সাংবাদিককে তিনি আভাস দিয়েছিলেন, ‘আইনি সুযোগ থাকলে এটা “মিট আপ”(মিটমাট পড়ুন) করার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।’

মিটমাট হোক বা না হোক, এরপর থেকে সদরে-মফস্‌সলে সব জায়গায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার জুজু বেশ কার্যকর হয়ে ওঠে। মন্ত্রীর দেওয়া ছাগল-ভেড়া-গরুর মৃত্যু নিয়ে কেউ আর কোনো শোরগোল করেননি। হতে পারে, কথিত ধারায় ধরা খাওয়ার ভয়ে গবাদিপশুরাও ‘প্রাণত্যাগের’ কথা ভুলে গিয়েছিল।

এবার দেশের উত্তরাঞ্চলের সাঁওতাল মান্ডি ওঁরাও গ্রামগুলো থেকে সরকারের বিতরণ করা গবাদিপশুর ধারাবাহিক মৃত্যুর খবর আসছে। দেশের প্রাণিসম্পদ বিভাগ ২০১৯ সালে ‘সমতল ভূমিতে বসবাস করা অনগ্রসর ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক ও জীবনের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক এক বিশাল নামের (১৬ শব্দের) ছোট্ট প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের জুনে। প্রায় ৩৫ কোটি ২০ লাখ টাকার এই প্রকল্পের অনেক লক্ষ্য। এর মধ্যে রয়েছে ছাগল ও ভেড়া সম্ভব হলে গরু বিতরণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচন, আমিষের চাহিদা পূরণ, জীবনমান উন্নয়ন, প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে প্রশিক্ষিত জনসম্পদ তৈরি, প্রযুক্তি হস্তান্তর ইত্যাদি ইত্যাদি।

এই প্রকল্পের আওতায় সম্প্রতি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ৪০০ ও তানোরে ৮০০ পরিবারের মধ্যে ভেড়া বিতরণ করা হয়। বাগমারা উপজেলার ১১৬টি পরিবারকে দেওয়া হয় ২৩২টি ভেড়া। এ ছাড়া গোদাগাড়ীর ২৬৬ ও তানোরের ১৭০টি পরিবারের প্রতিটিকে একটি করে বকনা গরুও দেওয়া হয়। বিতরণের পর থেকে তিন উপজেলাতেই উপকারভোগীদের কেউ কেউ গবাদিপশু নিজ নিজ বাড়িতে নিতে না নিতেই মরতে শুরু করে।

তবে কী রোগে এসব প্রাণী মারা যাচ্ছে, তা সংশ্লিষ্ট কেউই বলতে পারছেন না। রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জুলফিকার মো. আখতার হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘কী রোগে এসব প্রাণী মারা গেছে, তা আমরা নিশ্চিত নই। কারণ জানতে আস্ত একটা মৃত ভেড়া ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাটে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি মৃত ভেড়ার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

এই প্রকল্পের উপকারভোগীরা বলছেন, খুবই রুগ্ণ ও হাড্ডিসার ছিল সরকারের দেওয়া এসব প্রাণী। বাড়ি নেওয়ার পরই এগুলো মারা যাচ্ছে। গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, গত ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাগমারায় প্রায় ৪০টি, তানোর ও গোদাগাড়ীতে ১০ থেকে ১৫টি করে ভেড়া মারা গেছে। প্রকল্পের আওতায় দেওয়া ২২টি গরুও মারা গেছে। এসব গবাদিপশু বিতরণ করা হয়েছিল ডিসেম্বরের শুরুতে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে একই ধরনের ঘটনা ঘটে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে। নদীতে ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর বেকার জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ছাগল বিতরণ করা হয়েছিল। বিকল্প কর্মসূচির আওতায় গত বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি বৃহত্তর কুমিল্লা মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে উপজেলার জেলেদের জন্য ৬০টি ছাগল বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২৬ জানুয়ারি উপজেলার মতলব পৌরসভার চরমুকুন্দি এলাকার ১৫ জেলের প্রত্যেককে দুটি করে ৩০টি ছাগল দেওয়া হয়। এসব ছাগলের ১৩টিই মারা গেছে। বিতরণের ২০ দিনের মধ্যে এসব প্রাণীর মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবে জেলেরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ছাগল কেনায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন জেলেরা।

কেন বিতরণের গবাদিপশু বাঁচে না

চাঁদপুরের জেলেরা যা-ই বলুন না কেন, রাজশাহীর সাঁওতাল মা সবিতা রানীর কথা ঠিক, ‘হাড্ডিসার ও অসুস্থ গবাদিপশু তাঁদের দেওয়া হয়।’

ঠিকাদার হাটে গিয়ে যা পান, তা–ই কিনে এনে শর্ত পূরণ করেন। মানুষ খাওয়া বা কোরবানি ও সদকার জন্য হাটবাজার থেকে ষাঁড়-খাসি কিনলেও পোষার গাভি-গরু-ছাগি অচেনা মানুষের কাছ থেকে কিনতে চান না। ‘জাতের’ বকনা ছাগি কেবল চেনাজানা গৃহস্থের কাছেই মেলে। সাত হাত ঘুরে হাটে ওঠা গবাদিপশু নাদুসনুদুস হবে, এমন আশা করা বৃথা।

যাঁরা গবাদিপশু লালন-পালন করেন বা বাজারে বিক্রির জন্য খামার গড়েছেন, তাঁরা খামার বা পালের স্বার্থে সাধারণত সুস্থ বকনা বা ছাগি হাতছাড়া করেন না। চরম অভাবে না পড়লে শরৎচন্দ্রের মহেশকে কি গফুর কসাইয়ের হাতে তুলে দিত? অসুস্থ আর গর্ভধারণে অক্ষম না হলে মালিক বকনা গরু-ছাগি বিক্রি করেন না।

কেনার সময় স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় না

ঠিকাদার-দালালের মাধ্যমে পশুর হাট থেকে প্রাণী কেনার ও বিতরণের সময় কোনো রকম স্বাস্থ্য পরীক্ষার বালাই নেই। প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ‘হাটের ছাগল জীবাণু বহন করে’। তাই জীবাণুনাশক ব্যবহার না করে ছাগল কেনা ও বিতরণ করা ঠিক নয়। বিতরণের আগে প্রয়োজনে ছাগলের শরীরের তাপমাত্রা মেপে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তাই একজন দক্ষ খামারি বা একজন প্রাণী-চিকিৎসককে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। পেটের অবস্থা, শারীরিক সুস্থতা, শারীরিক তাপমাত্রা, খাদ্য গ্রহণের ইচ্ছা, সবদিকে ‘ফিট’ হলেই কেবল গবাদিপশুকে বিমুক্ত করা বা গ্রামে দেওয়া যাবে। অন্যথায় বাইরে থেকে আসা এসব রোগাক্রান্ত গবাদিপশুর মাধ্যমে গ্রামের সুস্থ প্রাণী বিপন্ন হতে পারে।

মাত্রাতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণে বাধ্য করা

অনেক ছাগলের মালিক হাটে তোলার আগে পেট ভরে খাইয়ে হাটে নিয়ে আসেন। এতে ছাগলের পেটে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার নতুন ছাগল কিনে আনার পর অনেকক্ষণ অভুক্ত আছে ভেবে বেশি মাত্রায় খেতে দেওয়াও উচিত নয়। এ অবস্থায় ছাগল অতিমাত্রায় ক্ষুধার্ত থাকলে মাত্রাছাড়া খেয়ে বদহজমের শিকার হতে পারে।

শকেও ছাগল মারা যেতে পারে

অনেক অসাধু দালাল বাচ্চাকে আলাদা করে রেখে শুধু ছাগি বিক্রি করে দেয়। বাচ্চা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অনেক ছাগি বিমর্ষ হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এমন ছাগিকে খাবার ছেড়ে দিতে দেখা যায়, যাতে মৃত্যুও হয়। তাই ছাগি কেনার সময় দুধের বাঁট ভালোভাবে পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। বাঁটে দুধ থাকলে সেই ছাগি না কেনাই ভালো।

খাদ্য পরিবর্তন

দূর–দূরান্ত থেকে হাটে আনা ছাগলের নানা রকমের খাদ্যাভ্যাস থাকতে পারে। ক্রেতার পক্ষে সেটা জানা সম্ভব নয়। হঠাৎ জায়গা ও খাদ্যে পরিবর্তন হলে ছাগল খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারে। ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর উত্তরাঞ্চল থেকে আনা গবাদিপশু বিতরণের পর এ ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। দক্ষিণের লবণাক্ত খাবার খেতে না পেরে অনেক গবাদিপশু মারা যায়। এসব ক্ষেত্রে আস্তে আস্তে খাবারে পরিবর্তন আনতে হবে।

উপায় কী

সংশ্লিষ্ট সবাই জানেন ও মানেন, হাটবাজার থেকে পাইকারি হারে গবাদিপশু সংগ্রহ করে বিতরণের কাজটি সহজ নয়। বরং এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। ঠিকাদারের মাধ্যমে এই সংবেদনশীল কাজটি সুষ্ঠুভাবে করা প্রায় অসম্ভব। দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রাণিসম্পদ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানকে এ কাজে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।

জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বেসরকারি উদ্যোগের অভিজ্ঞতাও কাজে লাগানো যেতে পারে। বেসরকারি সংস্থা কারিতাস দিনাজপুরের পার্বতীপুর অঞ্চলে অনেক কম খরচে একই ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। তাদের গবাদিপশুর মৃত্যুর কথা শোনা যায়নি। চাঁদপুরে যেখানে একটা ছাগলের দাম ধরা হয়েছে ৮ হাজার টাকা, সেখানে পার্বতীপুরে একটা নীরোগ ছাগলের দাম ছিল ৪ হাজার ৫০০ টাকা।

ঠিকাদারদের ওয়ারেন্টির (১৫ দিন বা এক মাসের মধ্যে প্রাণী মারা গেলে প্রমাণ সাপেক্ষে নতুন প্রাণী সরবরাহ) শর্ত থাকায় তাঁরা দাম বেশি নেন।

সরকারি এই প্রকল্পে গবাদিপশু রক্ষণাবেক্ষণ ও চিকিৎসা সহযোগিতার যেসব কথা বা সংস্থান রাখা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর মতামতের ভিত্তিতে সেগুলো মূল্যায়ন করে আরও বেগবান করা দরকার।

সবশেষ গণশুমারি প্রকাশ পেয়েছে গত বছর। কিন্তু সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১ দশমিক ১০ শতাংশ অর্থাৎ ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ১৪১ জন সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী। বিশ্বব্যাংকের এক হিসাবমতে, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ১৫ শতাংশ চরম দরিদ্র ও মূলধারার জনগোষ্ঠীর তুলনায় গড় আয়ু অন্তত ২০ বছর কম।

বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ। সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে এই হার ৬০ শতাংশ। এঁদের মধ্যে আবার ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এ রকম একটা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য নেওয়া প্রকল্প যেন তাদের আরও নিঃস্ব না করে, সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

Leave a Reply