অ্যাসিড-সন্ত্রাসের ভয়াবহ দিন কি আবার ফিরে আসছে

‘অ্যাসিড-সন্ত্রাস’ নিয়ে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় লিখেছেন গওহার নঈম ওয়ারা (প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৩)

২০০২ সালে অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের পর ধীরে ধীরে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা কমে আসে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আবার অ্যাসিড-সন্ত্রাস বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এখন শুধু নারী-শিশু নয়, অপরাধীরা অ্যাসিডকে নারী-শিশু-পুরুষ নির্বিশেষে সবার ক্ষেত্রে কার্যকর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৭ আগস্ট রাতে ভর্তি হন এক নারী। তাঁর নাম মনোরমা (ছদ্মনাম)। তাঁর প্রায় সারা মুখ আর শরীরের নানা জায়গা অ্যাসিডে ঝলসে গেছে। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স থেকে তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। বছর চারেক আগে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সুমন শিকদারকে। বিয়ের পরেই সুমনের মাদকাসক্তির বিষয়টি টের পান মনোরমা। ভালোবাসার বিয়ে বলে তাঁর নিজের পরিবারে ফেরার পথ অনেকটা রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। অনেক চেষ্টা-তদবির করেও স্পিডবোটের চালক সুমনকে মাদকের পথ থেকে ফেরাতে পারেননি তিনি।

স্বামীর মাদকাসক্তি নিয়ে সংসারে অশান্তি বাড়তেই থাকে। শেষ পর্যন্ত উপায়হীন মনোরমা এক সন্তান নিয়ে বাপের ভিটায় ফেরত আসেন। একপর্যায়ে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। দুজনের বিচ্ছেদের পর মাদকাসক্ত সুমন দফায় দফায় মনোরমার বাবার বাড়িতে এসে নানান ঝুটঝামেলা শুরু করেন। অতিষ্ঠ হয়ে একপর্যায়ে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরই মধ্যে মনোরমা পরিবারের সিদ্ধান্ত মেনে অন্যত্র বিয়েতে রাজি হয়ে যান। চলতি আগস্টের শেষ সপ্তাহে তাঁর বিয়ের দিন ধার্য ছিল। খবর পেয়ে বসে থাকেননি সুমন। ১৬ আগস্ট রাত ১০টার দিকে তিনি দলবল নিয়ে মনোরমার বাবার বাড়িতে হানা দেন। অ্যাসিড মেরে তাঁকে ঝলসে দেন।

গত ২৩ জুন অ্যাসিড দগ্ধ এক মা ও তাঁর শিশু কন্যাকে রাজধানীর একই বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। ঢাকার কাছে আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পৌরসভার সদাসদি এলাকায় তাঁদের বাড়ি। মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন মা। এ সময় ঘরের জানালা দিয়ে দুষ্কৃতকারীরা সিরিঞ্জে ভরে তাঁদের লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছুড়ে মারে। এতে শিশুটির মুখ ও তার মায়ের পা ঝলসে যায়। পরে জানা যায়, এই দুষ্কর্মের মূল হোতা আর কেউ নন, অ্যাসিডে আহত শিশুটির বাবা।

হঠাৎ বার্ন ইনস্টিটিউটে অ্যাসিডদগ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়তে দেখে এখন সবাই শঙ্কিত। অথচ ২০০২ সালের পর অ্যাসিড সন্ত্রাস বিষয়ক অপরাধের সংখ্যা প্রতি বছর কমে আসছিল।

২০০০ সালে অ্যাসিডদগ্ধ নারীদের জন্য প্রথম আলো সহায়ক তহবিল গঠিত হয়। ব্যাপক প্রচারণা ও জনসচেতনার প্রেক্ষাপটে দেশের নীতিনির্ধারকেরা অ্যাসিড কেনাবেচায় কড়াকড়ি আরোপ করে বিধিবিধান জারি করেন ২০০২ সালে। অ্যাসিড নিক্ষেপকে গুরুতর অপরাধের তালিকায় আনা হয়। এটিকে জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান চালু হয়। একই সঙ্গে এ ধরনের মামলা দ্রুত বিচারের আওতায় আনার অঙ্গীকার করা হয়। সহজে অ্যাসিডপ্রাপ্তি বন্ধের কারণেই হোক অথবা মৃত্যুদণ্ডের ভয়েই হোক, ২০০৩ সাল থেকে অ্যাসিড নিক্ষেপ উল্লেখযোগ্য হারে কমতে থাকে।

অ্যাসিডের উৎপাদন, পরিবহন, মজুত, বিক্রয় ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, অ্যাসিডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও আইনগত সহায়তা নিয়ে প্রতি তিন মাসে একবার সভা করার কথা ছিল জাতীয় অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিলের। অথচ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর আগে থেকে গত তিন বছরেও কোনো সভা হয়নি। পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা কী হবে, তা-ও নির্ধারণ করা হয়নি। জেলা কমিটিগুলোও প্রায় নিষ্ক্রিয়।
অ্যাসিড সারভাইভার্স ফাউন্ডেশনের (এএসএফ) হিসাব অনুযায়ী, ২০০২ সালে যেখানে প্রায় ৫০০ অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছিল, সেখানে ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে ২০১৮ সালে এ রকম ঘটনা ঘটেছিল মাত্র ১৮টি।

কিন্তু পরিসংখ্যা বলছে, আবার ক্রমেই বাড়তে শুরু করেছে অ্যাসিড-সন্ত্রাস। করোনা মহামারিতে ‘সব বন্ধের’ দিনগুলোতেও অ্যাসিড-সন্ত্রাস একেবারে বন্ধ হয়নি। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের সময় ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৭টি অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছিল। তখন এতে দুজনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অ্যাসিড-সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছিল ২৩টি। ওই বছর মৃত্যু হয় একজনের। ২০২২ সালে এক লাফে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা বেড়ে দাঁড়ায় ২৯টি। আর চলতি বছরের জুন পর্যন্ত যে হিসাব পাওয়া যাচ্ছে, তাতে আবার সেই অ্যাসিড-সন্ত্রাসের ভয়াবহ দিনগুলো ফিরে আসার অশনিসংকেত দেখা যাচ্ছে।

একটা সময় ছিল, যখন অ্যাসিড-সন্ত্রাসের একচেটিয়া শিকার ছিল নারী আর মেয়েশিশুরা। এখন আর সেখানে সীমাবদ্ধ নেই। নারী-পুরুষ সব ক্ষেত্রেই এখন এই অ্যাসিডকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই অস্ত্র দিয়ে কেবল নারীর চেহারা বিগড়ে দেওয়া হচ্ছে না; অপরাধীরা ক্রমেই এটিকে নৃশংসতা প্রকাশের এক সাধারণ কিন্তু কার্যকরী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। এটা অ্যাসিড-সন্ত্রাসের নতুন এক মারাত্মক বাঁক।

কক্সবাজারের রামুতে দুবার হত্যাচেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত অ্যাসিডকে অস্ত্র হিসেবে বেছে নেয় দুর্বৃত্তরা। গত বছরের ২৫ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে ঘরে ফেরার পথে টিপু বড়ুয়া ও দীপক বড়ুয়াকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। রামুর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনী স্টেশনের ভিক্টর প্লাজার সামনে এ ঘটনা ঘটেছিল। ঘটনার এক মাস আগে রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের ধারালো ছুরি-ক্ষুরের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলেন এই দুজন। যাই হোক, দুর্বৃত্তরা তাঁদের অ্যাসিডে ঝলসে দেওয়ার পর দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনায় তাঁদেরই আত্মীয় একজন পুলিশ সদস্যকে আসামি করে মামলা হয়েছিল।

১৯ আগস্ট ২০২৩ প্রথম আলো আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক বিধান সরকার এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেজিস্ট্রার ডা. আশিকুর রহমান অ্যাসিড-সন্ত্রাসের শিকার পুরুষের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকার প্রবণতা দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

অ্যাসিড-সন্ত্রাস বৃদ্ধির কারণ কী
এখন প্রশ্ন উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরে ধীরে ধীরে অ্যাসিড-সন্ত্রাস কমে আসার পর আবার কেন সেই অপরাধ বাড়ছে। এখন কি তাহলে আবার সহজে অ্যাসিড পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, অ্যাসিড কেনাবেচায় আগের মতো কর্তৃপক্ষের অতটা জোরালো নজরদারি নেই। তাদের কর্মকাণ্ডে বেশ শিথিলতা দেখা যাচ্ছে। পুলিশের কাছে খবর আছে, করোনাকালে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা অনলাইন ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমেও এখন অ্যাসিড সংগ্রহ করা সম্ভব। অনেক বিক্রেতা জানেন না, ‘অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ আইন’ নামে একটি পৃথক আইন আছে। এতে এর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে নানা বিধিবিধান দেওয়া আছে। মনে হচ্ছে, সেই আইনের প্রতি কেউ আর তোয়াক্কা করছে না। ফলে অবাধে চলছে অ্যাসিড কেনাবেচা।

গাড়ি ও সোলার প্যানেলের জন্য ব্যবহৃত ব্যাটারির অ্যাসিডও এখন অ্যাসিড-সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি ভাবনার বটে।

কঠোর সাজার দৃষ্টান্ত কম
ভুক্তভোগী ও মানবাধিকারকর্মীরা জানাচ্ছেন, ২০ বছরেও অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০২-এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় বিচারের ক্ষেত্রে আইনে নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া আছে। কিন্তু আইনের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বিচার হয় না, সাজাও হয় না।

আইনজীবীরা বলছেন, অ্যাসিড-সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে আসার ফলে পুরোনো মামলাগুলোর দিকে প্রশাসনের সক্রিয় নজরদারি নেই। আদালতে সাক্ষী হাজির করার ব্যাপারেও রাষ্ট্রপক্ষের অপারগতা-অনাগ্রহের অভিযোগ এখন নিত্যদিনের ঘটনা। আর সাক্ষীর অভাবে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় অধিকাংশ আসামি খালাস পাচ্ছে।

বিচারিক আদালত ও উচ্চ আদালতে অনেক পুরোনো মামলা ঝুলে আছে বছরের পর বছর। বিচার হয় না, অপরাধীদের সাজা হয় না। এতে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন ভুক্তভোগীরা। ফলে ভোগান্তি এড়াতে অনেক ভুক্তভোগী আপস-মীমাংসার পথে পা বাড়াচ্ছেন। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে ন্যায়বিচার। ফলে আবার অ্যাসিড-সন্ত্রাস ফিরে আসার আশঙ্কা বাড়ছে।

একজন বিচারপ্রার্থী নারী এই লেখককে জানিয়েছিলেন, ‘মামলা করলে শুধু টাকাই খরচ হয়, আদালতে ঘুরেও বিচার পাওয়া যায় না। সাক্ষীর অভাবে অনেক মামলা খারিজ হওয়ার পথে। আসামিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রকাশ্যে, আর আমি যন্ত্রণায় ভুগছি। আদালতে আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরও তাঁরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন না। উল্টো জামিনে বেরিয়ে এসে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন। থানায় বলেও কাজ হয়নি। দেখার কেউ নেই।’

এএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অ্যাসিড-সন্ত্রাসে জড়িত অপরাধীদের মধ্যে সাজা হয়েছে মাত্র ৩৩৪ জনের। ১৫ আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় হলেও কারও সাজা কার্যকর হয়নি। এসব মামলায় খালাস পেয়েছেন ১ হাজার ৯১০ আসামি। মামলার আসামিদের ৮৮ ভাগ ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন। মাত্র ১২ শতাংশ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সব মিলিয়ে সাজা হয়েছে মাত্র ৮ শতাংশ মামলায়।

নিষ্ক্রিয় নজরদারি
অ্যাসিডের উৎপাদন, পরিবহন, মজুত, বিক্রয় ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, অ্যাসিডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও আইনগত সহায়তা নিয়ে প্রতি তিন মাসে একবার সভা করার কথা ছিল জাতীয় অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিলের। অথচ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর আগে থেকে গত তিন বছরেও কোনো সভা হয়নি। পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা কী হবে, তা-ও নির্ধারণ করা হয়নি। জেলা কমিটিগুলোও প্রায় নিষ্ক্রিয়।

মন্থর প্রচার-প্রচারণা
যে উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে মানবাধিকার সংগঠন ও উন্নয়ন সহযোগীরা একসময় অ্যাসিডবিরোধী প্রচার-প্রচারণায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, এখন তাতে যথেষ্ট ভাটা পড়েছে। মন্থর বললে মনে হয় ভুল হবে, প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে সেই সব উদ্যোগ। কিন্তু নতুন করে অ্যাসিড-সন্ত্রাসের দিন দিন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

উপায় কী তবে
● অ্যাসিডের উৎপাদন, পরিবহন, মজুত, বিক্রয় ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণকে অগ্রাধিকার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না।

● অনলাইন ডেলিভারি প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে অ্যাসিডের মতো নিয়ন্ত্রিত দ্রব্যাদি ডেলিভারি করা থেকে বিরত থাকে এবং এ রকম দ্রব্যাদি সরবরাহের কোনো অনুরোধ পেলে সঙ্গে সঙ্গে তা যেন যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানায়।

● জবাবদিহি নিশ্চিত করাসহ পুরোনো মামলা সচল করতে সক্রিয় নজরদারি চালু করা।

● অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিল ও জেলা-উপজেলা কমিটিগুলোকে সচল রাখা।

● ধারাবাহিক গবেষণার মাধ্যমে বিচারব্যবস্থার ত্রুটিগুলো খুঁজে বের করে কর্তৃপক্ষকে জানানো। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে পুরোনো কিন্তু বিচারাধীন ১০টি মামলার হাল-অবস্থা বিশ্লেষণ করে সুপারিশ প্রদান।

● সব ধরনের সংবাদমাধ্যমে তথ্যভিত্তিক অ্যাসিডবিরোধী প্রচারণা বাধ্যতামূলক করা এটা ঠিক, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নানা কারণে পারিবারিক সহিংসতা, ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের মাত্রা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। অনেকেই মনে করেন, এই অপরাধ বৃদ্ধির সঙ্গে করোনাভাইরাস মহামারির একটা প্রভাব আছে। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে ক্রমেই অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। তাই বলে আমাদের হাত গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। অ্যাসিড-সন্ত্রাসকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার যে লক্ষ্যের কথা উচ্চারিত হয়েছে প্রথম আলো আয়োজিত ১৯ আগস্টের মতবিনিময় সভায়, তা বাস্তবায়নে বিরামহীনভাবে কাজ করে যেতে হবে।

Leave a Reply