দুই দশকে প্রণীত আইন ও নীতি

নীতিমালার নামনীতিমালা গৃহীত হওয়ার সালউল্লেখ্য বিষয়বস্তু
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা২০১৫সমন্বয়নঃ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
জ্ঞান, প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও শিক্ষার মাধ্যমে দুর্যোগ প্রস্তুতি গ্রহণ, ঝুঁকিহ্রাস  ও সহনশীলতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণের কৌশল উদ্ভাবন, দুর্যোগ ঝূঁকিহ্রাস বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত সংস্কার, দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কার্যক্রমে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে স্থানীয় জ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার, দুর্যোগ সাড়াদান কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার রূপরেখা প্রণয়ন করার উদ্দেশ্যে এই নীতিমালা গ্রহণ করা হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সার্বিক ধারণা প্রয়োগের মাধ্যমে পূর্বের ত্রাণ ও পুনর্বাসন ধারণার পরিবর্তে জনগণের অংশগ্রহণে আপদ ও ঝুঁকি সনাক্তকরণ, দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং কার্যকর সাড়াদানের মাধ্যমে সমন্বিতভাবে দুর্যোগ মোকাবিলা করার উদ্যোগ গ্রহণ করা। সব ধরনের প্রাকৃতিক, পরিবেশগত ও মানব সৃষ্ট দুর্যোগে মানুষের বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিপদাপন্নতাকে মানবিক ও সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে এসে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার একটি কাঠামোগত রূপরেখা প্রণয়ন করা যার কেন্দ্রমূলে থাকবে ঝুঁকি কবলিত জনগোষ্ঠীর ঝুঁকি মোকাবেলার সামর্থ্য বৃদ্ধি হল এর মূলনীতি।
http://www.ddm.gov.bd/site/page/b4a26719-b2b8-4679-9a3b-56549113ecdc/%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A1-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8/%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন   ২০১২২০১২সমন্বয়নঃ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।
মোট ছয় অধ্যায়ে বিভক্ত। দুর্যোগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রত্যয়ের সংজ্ঞায়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর সম্ভাব্য পরিকল্পনা, বিশেষ করে দুর্যোগ গবেষণা, স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন ও সাড়াদান সমন্বয় গ্রুপের গঠন ও কার্যক্রম, সার্বিক প্রক্রিয়ার বিভিন্ন স্তরের অর্থায়ন এবং আরোপিত দায়িত্ব অবহেলা ও অসদাচরণের পরিণাম, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক চুক্তি প্রণয়নের ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। সেই সাথে তফসিল আকারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ক্ষেত্র ও পরিস্থিতি অনুযায়ী জীবন ও সম্পদ রক্ষায় জরুরি করণীয় ও দায়িত্ব সংযুক্ত আছে এতে। 
http://www.ddm.gov.bd/site/view/law/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%A8
দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী২০১৯সমন্বয়নঃ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৫ সালে  দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী প্রনয়ন করে (১৯৯৭, ২০১১, ২০১৫ ও ২০১৯ সালে সংশোধিত করা হয় )। উক্ত আদেশাবলীতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা সহ ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপির) কার্যক্রম নির্ধারণ করা হয়। উক্ত আদেশাবলীতে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির দুর্যোগের বিভিন্ন পর্যায়ের কার্যক্রম সন্নিবেশ করা হয়। দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলীতে বাংলাদেশ সরকার ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি তৃণমূল পর্যায়ে, ইউনিয়ন পর্যায়ে, উপজেলা পর্যায়ে এবং জেলা পর্যায়েও দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০১৯ সালের হালনাগাতকৃত দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলীতে সকলের জন্য অনুসরনীয় সুনির্দিষ্ট দায়িথ্ব ও কার্যাবলি বর্ণনা করা হয়েছে যা সন্ধান, উদ্ধার মানবিক সহায়থা ও পুনবার্সন কাজে সুসম্বয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনজীবনকে দ্রুত স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরিয়ে এনে দুর্যোগ-সহনশীল দেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে। দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, পূর্ব প্রস্তুতি, জরুরি সাড়াদান, পুনর্বাসন ও পুনর্গঠন বিষয়ে প্রচলিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মডেলের স্থলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অধিকতর সমম্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মডেল গ্রহণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে জেন্ডার ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তিকে সম্পৃক্ত করে গৃহীত মডেলগুলো অধিক স্বীকৃতি ও গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ইয়োকোহামা কৌশল থেকে শুরু করে হিউগো ফ্রেমওয়ার্ক ফল অ্যাকশন ও সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশনসহ স্থানীয়, ওজাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দুর্যোগঝুঁকি হ্রাসের কর্মকাঠামো বান্তবায়নে জেন্ডার ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তি সম্পৃক্তকরণে বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ।
http://www.ddm.gov.bd/site/view/policies/%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা২০২১-২০২৫সমন্বয়নঃ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ২০২১-২০২৫ দুর্যোগ এবং এ সম্পর্কিত ঘটনা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এই পরিকল্পনাটি দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রাতিষ্ঠানিক ও অন্যান্য নীতিকাঠামো দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের ভিশন ও লক্ষ্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এনপিডিএম ২০২১-২০২৫ সেন্দাই কর্মকাঠামোর অগ্রাধিকার, লক্ষ্য ও প্রধান কার্যক্রমের সাথে সমম্বয়পূর্বক প্রণয়ন করা হয়েছে। এনপিডিএম ২০২১-২০২৫ প্রণয়ণে বাংলাদেশ সরকারের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১ ও ২০৪১ এর মূল লক্ষ্যসমূহ প্রতিফলিত হয়েছে। দেশের বর্তমান বিশেষ করে বেসরকারি খাতের সম্ভাব্য বিনিয়োগের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ঝুঁকি অবহিতমূলক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন উৎসাহিত করা হয়েছে।
এনপিডিএম ২০২১-২০২৫ এর মূল লক্ষ্য হলো বিণ্নি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মাধ্যমে সেন্দাই কর্মকাঠামোর অগ্রাধিকারসমূহ বাস্তবায়ন জোরদারকরণ। এ পরিকল্পটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের ২০১২ এর সাথে সংগতি রেখে দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী (এসওডি) ২০১৯ এ বর্ণিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরের কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়খ ভূমিকা রাখবে।
https://modmr.portal.gov.bd/site/publications/9f299b21-8223-48d4-8cfc-1c2f8c30c249/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A7-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%AB
ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা২০১১সমন্বয়নঃ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগ, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।
আশ্রয়কেন্দ্রের কার্যকারিতাঃ স্বাভাবিক ও দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে বহুমুখী ব্যবহারের নিশ্চয়তা বিধান, প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক।
কাঠামোগত নকশাঃ বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর ১.৫ কি.মি. দূরত্বের মাঝে অবস্থান, সংযোগ রাস্তা তৈরি, লবণাক্ততা সহনীয়, সোলার প্যানেলের ব্যবহার।
আনুষঙ্গিকঃ আক্রান্ত জনপদ ও গবাদি পশুর প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণ, আশ্রয়কেন্দ্রের তালিকা সংরক্ষণ, মাটির কিল্লাসমূহের ব্যবস্থাপনা।
http://www.ddm.gov.bd/site/page/b4a26719-b2b8-4679-9a3b-56549113ecdc/%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A1-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8/%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE
জাতীয় কৃষি নীতি          ১৯৯৯, ২০১৩, ২০১৮ (খসড়া)সমন্বয়নঃ কৃষি মন্ত্রণালয়।
নিরাপদ, লাভজনক কৃষি, টেকসই খাদ্য, ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য আপদকালীন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা, বিপনন ব্যবস্থার উন্নয়নসহ আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এই নীতি অন্যতম উদ্দেশ্য।
অতি তীব্র খরা এবং তীব্র খরা পীড়িত এলাকায় সম্পূরক সেচের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, পার্বত্য এলাকাসহ অন্যান্য অঞ্চলের স্থানীয় বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে ফসল উৎপাদনের উপযুক্ত কৌশল নির্ধারণ ফসল উৎপাদন নীতির অন্তর্গত।
এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোনো দুর্বিপাকের সময় প্রধান প্রধান ফসলের বীজের স্বাভাবিক সরবরাহ নিশ্চিতে বাফার স্টক প্রথা অব্যাহত রাখা, অতি তীব্র এবং তীব্র খরা পীড়িত এলাকায় রোপা আমন মৌসুম সম্পূরক সেচ ব্যবস্থা চালু রাখা, সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন, খরা ও বন্যা পরিস্থিতির উপযোগী বিভিন্ন ফসলের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনমূলক গবেষণা কর্মসুচি প্রণয়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে শস্যহানি ঘটলে কৃষক পর্যায়ে এবং জাতীয় পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে কৃষি পুনর্বাসন কর্মসুচি গ্রহণের জন্যে আপদকালীন পরিকল্পনা প্রণয়ন, প্রতিকূল আবহাওয়ার পুর্বাভাস প্রদানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এই কৃষি নীতির অন্যতম লক্ষ্য। পরবর্তীতে পরিমার্জিত ও সংশোধন করে সময়োপযোগী করে নতুন জাতীয় কৃষি নীতি ২০১৩ এবং পর্যালোচনাপূর্বক জাতীয় কৃষি নীতি ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়।
http://www.dae.gov.bd/site/view/policies/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি২০২০সমন্বয়নঃ কৃষি মন্ত্রণালয়।
নতুন কৃষি সম্প্রসারণ নীতি ১৯৯৬ কে হালনাগাদ করে জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি ২০২১ (খসড়া) তৈরি করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত মানুষের খাদ্যের যোগান দিতে কৃষি খাত চাপের মধ্যে রয়েছে। নতুন কৃষি সম্প্রসারণ নীতি ১৯৯৬ বাস্তবায়নের মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ সেবা জোরদারকরণে গতিশীলতা আসে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন, বিশেষ আবহাওয়ার প্রতিকূলতা মোকাবিলায় টেকসই প্রযুক্তি অনুসরণ ও ভ্যালু চেইন ব্যবস্থাপনার উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি ২০২০ (খসড়া) প্রণয়ন করা হয়। এই নীতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে সব শ্রেণীর কৃষক ও উদ্যোক্তাদের চাহিদার ভিত্তিতে প্রযুক্তি ও তথ্য সেবাপ্রদানের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঘাত সহনশীল, পরিবেশবান্ধব, নিরাপদ, টেকসই ও পুষ্টিসমৃদ্ধ লাভজনক ফসল উৎপাদন নিশ্চিত করা।” এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সামগ্রিকভাবে কৃষি উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, বৃহত্তর পরিসরে সাশ্রয়ী, দক্ষ, বিকেন্দ্রীভূত ও চাহিদাভিত্তিক সম্প্রসারণ সেবা প্রদান, কৃষক ও সম্প্রসারণ জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে বিশেষায়িত সম্প্রসারণ সেবা প্রদান, কার্যকর বাজার সংযাগ সৃষ্টি, রফতানি উপযোগি কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ ও চুক্তিবদ্ধ চাষাবাদ পদ্ধতি প্রচলন, ডিজিটাল (ই-কৃষি) সম্প্রসারণ সেবা প্রদান, ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন সিস্টেম (এনএইএস) এর আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বন অধিদপ্তর ইত্যাদির মাধ্যমে সমম্বিত সম্প্রসারণ সেবা প্রদান এবং কৃষি উৎপাদন বহুমুখীকরণ।
http://www.dae.gov.bd/site/view/policies/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
আগাম ও স্বল্প মেয়াদী ফসলে জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন বিষয়ক নীতিমালা২০১০সমন্বয়নঃ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল
বন্যা, জলোচ্ছ্বাসস, ঝড়, সাইক্লোন ও অতিবৃষ্টির কারণ কৃষি তথা খাদ্য উৎপাদনে প্রভাব পড়ে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা জন্য কৃষিনীতি, বীজনীতি, ইত্যাদি নীতিমালায় দিকনির্দেশনা আছে। কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রয়োজন ফলসের নতুন জাত উদ্ভাবন। উপযুক্ত জাত উদ্ভাবন ও কার্যকর সম্প্রসারণ এর ওপর আগামী দিনের কৃষি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা নির্ভরশীল। এই নীতিমালায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে স্বল্প সময়ে ফসলে নতুন জাত ও চাষাবাদ প্রযুক্তি উদ্ভাবন সাথে সাথে উপযুক্ত চাষাবাদ পদ্ধতি, ফসল ধারার পরিবর্তন, পানি ব্যবস্থাপনা ও প্রতিকূল আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদির ওপর গুরুত্ব প্রদান করেছে।
http://www.dae.gov.bd/site/page/d041070f-6730-4354-904a-81f4ef5f1a01/-
অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা২০১০সমন্বয়নঃ খাদ্য মন্ত্রণালয়
২০০৫ সালে প্রণীত অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালাকে আরও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে সংশোধনμমে অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা ২০১০ প্রণয়ন করা হয়। এই নীতির উদ্দেশ্য উৎপাদক কৃষকদের মূল্য সহায়তা প্রদান, খাদ্যশস্যের বাজারদর যৌক্তিক পর্যায়ে স্থিতিশীল রাখা, খাদ্য নিরাপত্তা মজুদ গড়ে তোলা এবং সরকারি খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থায় সরবরাহ অব্যাহত রাখা।
https://mofood.gov.bd/site/view/policies/%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE
নিরাপদ খাদ্য আইন
 
নিরাপদ খাদ্য (কারিগরী কমিটি) বিধিমালা
২০১৩
 
 
২০১৭
সমন্বয়নঃ খাদ্য মন্ত্রণালয়/বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য পরিষদ
বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতকরণে খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ, বিপণন ও বিক্রয় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সমন্বয়ের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ এবং তদলক্ষ্যে একটি দক্ষ ও কার্যকর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে এতদ্‌সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন রহিতক্রমে উহা পুনঃপ্রণয়নের উদ্দেশ্যে এই আইন প্রণীত হয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ (২০১৩ সনের ৪৩ নং আইন) এর ধারা ৮৬, ধারা ১৭ এর সহিত পঠিতব্য, তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার নিরাপদ খাদ্য (কারিগরী কমিটি) বিধিমালা ২০১৭ প্রণয়ন করা হয়।    
http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-1127.html
http://bfsa.gov.bd/site/view/law/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A6-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8,-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%A9
জাতীয় খাদ্য নীতি২০০৬সমন্বয়নঃ খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়
১৯৮৮ সালের বাংলাদেশে প্রথম খাদ্যনীতির লক্ষ্য ছিল খাদ্যশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের মাধ্যমে সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা বিধান। খাদ্যনীতি ১৯৮৮তে খাদ্যশস্যের লভ্যতা ব্যতিরেকে খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় অপূর্ণতা থেকে যায়। বাংলাদেশ ১৯৯৪ সালের উরুগুয়ে বাণিজ্য চুক্তি (GATT Uruguary Round Agreement) এর একটি স্বাক্ষরকারী দেশ যেখানে অন্যান্য বিষয়ের সাথে কৃষি বাণিজ্য উদারীকরণ নীতিও গৃহীত হয়। ২০০০ সালে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের সভার পরামর্শমতে “বাংলাদেশের জন্য একটি সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নীতি” শিরোনামে টাস্কফোর্স প্রতিবেদন প্রণয়নের মাধ্যমে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা কার্যক্রমকে বর্ধিত আঙ্গিকে সুসংহত করার প্রক্রিযা শরু হয়।
সকল জনগণের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা খাদ্যনীতির অন্যতম উদ্দেশ্য। খাদ্য নিরাপত্তার অন্যতম আঙ্গিক হলো অব্যাহতভাবে সকল জনগোষ্ঠীর আয়ের সাথে সংগতিপুর্ণভাবে খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য খাদ্যের লভ্যতা নিশ্চিত করা। দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে প্রচেষ্টাসমূহের মূল দিক হচ্ছে দক্ষ ও টেকসইভাবে অভ্যন্তরীন খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি। টেকসইভাবে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি নিশ্চিতকরণে উন্নত কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে উৎপাদশীলতা বৃদ্ধি ও সার্বিক পুষ্টি চাহিদার নিরিখে কৃষি ব্যবস্থার বহুমুখীকরণ প্রয়োজন। কৃষি উন্নন ও সম্প্রসারণ, বিদ্যমান ভূমির সর্বোত্তম ও দক্ষ ব্যবহার, কৃষি উপকরণসহ সেচের জন্য পানির দক্ষ ব্যবহার, পশুসম্পদ, মৎস্য ও ফলসহ অশস্যজাত খাদ্য উৎপাদনের জন্য কৃষি নিবিড়করণে উন্নত কৃষি প্রযুক্তি, গবেষণা ও কৃষিঋণ সরবরাহের লক্ষ্যে অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সিবে সরকার।
http://www.dgfood.gov.bd/site/files/fe0b2c7d-0a8b-4526-98e8-4bfff4fdcbd0/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF,-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A6%E0%A7%AC
জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নীতি (খসড়া)১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০সমন্বয়নঃ খাদ্য মন্ত্রণালয়
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা’ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে একটি টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে নীত ও পরিকল্পনা গ্রহন ও তার যথাযথ বাস্তবাষনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগসহ অন্যান্য কর্মকান্ড গ্রহণে সার্বিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য বিদ্যমান নীতি ও কাঠামো সংশোধন ও হালনাগাদ করে সরকার একটি নতুন খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নীতি (খসড়া) ২০২০ প্রণয়ন করেছে। জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নীতির প্রধান লক্ষ্য হলো খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা সম্পর্কিত টেকসিই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা উন্নতি করা এবং ২০৩০ সালেল মধ্যে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি করা।  
খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নীতির উদ্দেশ্য হলো স্বাস্থ্যসম্মত সুষম খাবার গ্রহণের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, সাশ্রয়ী মূল্যে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রাপ্তির সামর্থ্য ও সুযোগ বৃদ্ধি, উন্নত পুষ্টিমান অর্জনের লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসম্মত ও বৈচিত্র্যপূর্ণ খাদ্য গ্রহণ ও খাদ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি দুর্যোগপ্রবন ও দদুর্গম অঞ্চলস্থ দুঃখ জনগোষ্ঠীকে গুরুত্ব দিয়ে জীবনচক্রব্যাপী পুষ্টি নিরাপত্তা নীতি বাস্থবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট আন্তঃখাত কাঠামোর উন্নয়ন ও সমম্বয় সাধন, সুশাসন প্রতিষ্ঠান এবং অংশীজনের সক্ষমতা শক্তিশালীকরণ।
 
https://mofood.gov.bd/site/page/6cdaea92-b446-4c6b-a4f8-f39b308721f8/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%A6-(%E0%A6%96%E0%A6%B8%E0%A7%9C%E0%A6%BE)
জাতীয় শিশু নীতি          ২০১১সমন্বয়নঃ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
শিশুমৃত্যু রোধের ক্ষেত্রে এবং দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু প্রতিরোধে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, লবণাক্ত উপকূলীয় এলাকা ও আর্সেনিকযুক্ত পানির এলাকায় নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহ, দুর্যোগ ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অটিস্টিক শিশুদের বিশেষ চাহিদার ওপর গুরুত্ব প্রদান, স্বাস্থ্য বিষয়ক উপকরণের প্রাপ্যতা ও পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা, বস্তুগত সাহায্যের পাশাপাশি মনো-সামাজিক সহায়তা প্রদান এই নীতির প্রধান লক্ষ্যগুলোর অন্যতম।
http://www.dss.gov.bd/site/view/policies/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE
জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি২০১১সমন্বয়নঃ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
১৯৯৭ সালে প্রথমবারের মত জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৪, ২০০৮ এবং ২০১১ সালে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ প্রণয়ন হয়।
 
নারীকে দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্ত করা, নারীর সু-স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করা, দুর্দশাগ্রস্ত নারীর চাহিদা পূরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পুনর্বাসন, নারীর খাদ্য-নিরাপত্তা, নারীর জন্য উপযুক্ত গৃহায়ন ইত্যাদি অনেক ধারা এই আইনে রয়েছে।
http://www.dss.gov.bd/site/view/policies/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE
জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা২০১৩সমন্বয়নঃ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়
দেশের প্রবীণদের অধিকার সমুন্নত রাখা এবং তাহাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সার্বিক কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
এর প্রধান উদ্দেশ্যসমূহ হলো সংশ্লিষ্ট জাতীয় নীতিমালাসমূহে (স্বাস্থ্যনীতি, নারী উন্নয়ন নীতি, গৃহায়ন, প্রতিবন্ধী ইত্যাদি নীতিমালাসমূহ) প্রবীণ বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা এবং যথাযথ কর্মপরিকল্পনা সুনির্দিষ্ট করে তা বাস্তবায়ন করা, স্থানীয় সরকার, উন্নয়ন ও সামাজিক উদ্যোগে এবং প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রবীণদের অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি, জাতীয় স্বাস্থ্য নীতিতে প্রবীণদের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা এবং বিদ্যমান সরকারি এবং বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কাঠামোতে প্রবীণদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সেবা প্রদানের নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রবীণদের স্বাস্থ্য সহায়তার ক্ষেত্রে সামাজিক ও ব্যক্তিগত উদ্যোগকে উৎসাহিত করা।
http://www.dss.gov.bd/site/view/policies/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE
জাতীয় নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন নীতি    ১৯৯৮সমন্বয়নঃ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
এতে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব হ্রাসকরণ, শহরাঞ্চলে বৃষ্টিপাতজনিত পানি নিষ্কাশন নিশ্চিতকরণ, শহরাঞ্চলে প্রতিটি বাড়িতে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের সুবিধা সম্প্রসারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সর্বসাধারণের জন্য গণশৌচাগার ও ঘনবসতিপূর্ণ দরিদ্র এলাকায় কমিউনিটি শৌচাগার স্থাপন, শহরাঞ্চলে কঠিন ও তরল বর্জ্য পদার্থের লাভজনক ব্যবহার এবং গ্রামাঞ্চলে জৈব সার উৎপাদনে ব্যবহার ইত্যাদি কার্যক্রমের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। 
http://www.dphe.gov.bd/site/page/df5879cb-6445-4cb4-a748-f83c1b3c0854/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%8C%E0%A6%B6%E0%A6%B2
জাতীয় শিক্ষা নীতি         ২০১০সমন্বয়নঃ শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনসহ প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশ সচেতনতা এবং দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করা এই নীতিমালার অন্যতম লক্ষ্য। সেই সাথে হাওর, চর এবং একসঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার হয় এমন এলাকার বিদ্যালয়ে সময়সূচি এবং ছুটির তালিকার প্রয়োজনীয় পরিবর্তন, উচ্চ শিক্ষাঙ্গনে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে পাঠদানের ব্যবস্থা, প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে দেশের জলজ ও স্থলজ উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য অভিঘাতে কৃষি উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে কৃষি শিক্ষা খাতে গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ ইত্যাদি বিষয় গুরুত্ব লাভ করেছে।  
http://www.dss.gov.bd/site/view/policies/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন        বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন ২০১০ নামে  অভিহিত
২০০০, ১৯৯৫ (সংশোধিত), ১৯৯৫
সমন্বয়নঃ পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়।
১৯৯৫ সালে প্রণীত আইনের সংশোধনী হিসেবে এতে জলাধার, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য, প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ইত্যাদি ধারণার সংজ্ঞায়ন, পাহাড় কাটা, জাহাজ ভাঙা, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য উৎপাদন-আমদানি-মজুদকরণ-বোঝাইকরণ-পরিবহণ পরিবেশগত ছাড়পত্র, অপরাধ বিশেষে আরোপণীয় দণ্ড, ক্ষতিপূরণ ইত্যাদি প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট নিয়মাবলি এর অন্তর্ভুক্ত।
https://moef.portal.gov.bd/sites/default/files/files/moef.portal.gov.bd/page/6e61206f_0b3b_47f7_9461_0f49b0fdd129/beplaw-2010.pdf
http://www.doe.gov.bd/site/view/policies/%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE
ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক পণ্য হইতে সৃষ্ট বর্জ্য (ই-বর্জ্য) ব্যবস্থাপনা বিধিমালা২০১৯ (খসড়া)সমন্বয়নঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়
পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের আওতায় ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক পণ্য হইতে সৃষ্ট বর্জ্য (ই-বর্জ্য) ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১৯ এর খসড়া প্রকাশিত হয়েছে। এই খসড়া বিধিমালায় ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক পণ্যের প্রস্তুতকারক বা সংযোজনকারির দায়িত্ব, মজুদকারী বা ব্যবসায়ীর দায়িত্ব, মেরামতকারির দায়িত্ব, সংগ্রহ কেন্দ্রের দায়িত্ব, ব্যক্তিগতভোক্তা বা প্রাতিষ্ঠানিক ভোক্তার দায়িত্ব, চূর্ণকারীর দায়িত্ব, পুনঃ প্রক্রিয়াজাতকারীর দায়িত্ব, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নিবন্ধন গ্রহণ পদ্ধতি, পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ পদ্ধতি, ই-বর্জ্য মজুদকরণ পদ্ধতি স¤পর্কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনে বিপজ্জনক পদার্থের মানমাত্রা কেমন হবে, ই-বর্জ্যেও শ্রেণিবিভাগ কী কী হবে তা বলা আছে। আইন লংঘনের ক্ষেত্রে তার জন্য দÐ কি হবে, তার উল্লেখ রয়েছে এই বিধিমালায়।
http://www.doe.gov.bd/site/page/c807e77c-1df8-4152-9c50-ee154884e7a9/%E0%A6%96%E0%A6%B8%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B9
নির্মল বায়ু আইন ২০১৯২০১৯সমন্বয়নঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়
বায়ু দূষণ রোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং বায়ুমানের উন্নতি, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের সুরক্ষার জন্য এই আইন প্রণীত হয়। দেশের বিভিন্ন অংশে বায়ুমান সন্তোষজনক অবস্থায় রাখার জন্য এবং পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য এবং নাগরিকদের বিশুদ্ধ বায়ু সেবনের অধিকার এর নিশ্চয়তা বিধান এই আইনের উদ্দেশ্য।
http://www.doe.gov.bd/site/notices/943c6dba-a108-4ae2-83bb-228475fff2f6/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%81-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF
বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন         ২০১৭২০১৭সমন্বয়নঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়
জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও এর উপাদানসমূহের টেকসই ব্যবহার, জীবসম্পদ ও সংশ্লিষ্ট জ্ঞান ব্যবহার করে প্রাপ্ত সুফলের সুষ্ঠু ও ন্যায্য হিসাব বণ্টন এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে বিধান প্রস্তুত করার জন্য প্রণীত আইন।
https://moef.gov.bd/site/page/1c05e31e-1bb0-46ce-95a3-6ee3c82b439f/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF,%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BF
জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি ২০১১২০১১সমন্বয়নঃ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়/স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট রোগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে শ্বাসতন্ত্র সংক্রান্ত ব্যাধি, শৈত্য ও উষ্ণ প্রবাহ সংক্রান্ত ব্যাধি, পানিবাহিত রোগ, পরজ্জীবীবাহিত রোগ যেমন- ম্যালেরিয়া, ডেংগু ইত্যাদি এবং পুষ্টিহীনতা। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্য বিপর্যয় ও রোগ ব্যাধির গতি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ এবং পরিত্রাণের উপায় উদ্ভাবন, দুর্যোগ কবলিত এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয়ের শিকার জনগণের কাছে জরুরি ত্রাণ হিসাবে স্বাস্থ্যসেবা, ওষুধ, যন্ত্রপাতি প্রভৃতি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা এ নীতির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
http://dghs.portal.gov.bd/site/page/c5d3797f-8ee2-4ea7-9161-27e1048deb20
জাতীয় শিল্প নীতি২০০৫, ২০১০, ২০১৬সমন্বয়নঃ শিল্প মন্ত্রণালয়।
শিল্পক্ষেত্রে দূষণমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব শিল্পপণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করা এ নীতির অন্যতম উদ্দেশ্য। এছাড়া দেশিয় শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তসহ উদ্যোক্তা সৃষ্টি, ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পকে শিল্পায়নের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে বিকশিত করা, রপ্তানীমুখী শিল্প স্থাপন ও বহুমূকীকরণ, দেশী বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা এবং টেকসই পরিবেশবান্ধব শিল্পোন্নয়ন নিশ্চিত করা এই নীতিমালার অন্যতম উদ্দেশ্য।
https://moind.gov.bd/site/view/policies/%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE
বাংলাদেশ শ্রম নীতি        ২০১২সমন্বয়নঃ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, স্বাভাবিক কার্যক্রমের ঝুঁকি নিরসন এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রমজীবী মানুষের অধিকার বাস্তবায়ন এ নীতির মূখ্য উদ্দেশ্য।
https://policy.gov.bd/policy/ministry-of-labour-and-employment
বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন  ২০১৮সমন্বয়নঃ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন। বাংলাদেশে প্রচলিত শ্রম আইনের ৪১টি ধারা সংশোধন করে নতুন শ্রম আইনের খসড়া অনুমোদন পায় ২০১৮ সালে। শ্রম আইন ২০০৬-কে  ২০১৩ সালে একবার সংশোধন করা হয়েছিল। তখন এই আইনের ৯০টি ধারা সংশোধন করা হয়েছিল। 
শ্রমিক এবং মালিকের মধ্যে আইনী সব ধরনের নায্য প্রতিকারের স্বার্থে শ্রমিক নিয়োগ, মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে সম্পর্ক, সর্বনিম্ন মজুরীর হার নির্ধারণ, মজুরী পরিশোধ, কার্যকালে দুর্ঘটনাজনিত কারণে শ্রমিকের জখমের জন্যে ক্ষতিপূরণ, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন, শিল্প বিরোধ উত্থাপন ও নিষ্পত্তি, শ্রমিকের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, কল্যাণ ও চাকুরির অবস্থা ও পরিবেশ এবং শিক্ষাধীনতা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি সম্পর্কে সকল আইনের সংশোধন ও সংহতকরণকল্পে বাংলাদেশ শ্রম আইন প্রণীত। এই আইনের উল্লেখযোগ্য সংশোধনীগুলো কোনো কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের ২০ শতাংশের সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন করা যাবে। এর আগে ৩০ শতাংশ লাগত। ১৪ বছর বয়সের নিচে কোনও শিশুকে কোনো কারখানায় নিয়োগ দেওয়া যাবে না। বছরে দুটি উৎসব ভাতার বিধান রেখে এই আইনের বিধিমালা (বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫) চূড়ান্ত করা হয়। এই বিধিমালায় ১৯টি অধ্যায় রয়েছে। বিধি রয়েছে ৩৬৭টি। বিধিতে তফসিল সাতটি। এই বিধিমালা শ্রম আইন বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে।
https://mole.gov.bd/site/view/legislative_information/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE-
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন (সংশোধন) আইন         ২০১৩সমন্বয়নঃ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের কল্যাণ সাধনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ২৫ নং আইন) প্রণয়ন করা হয়। আইনটি সংশোধন পূর্বক ‘বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন (সংশোধন) আইন, ২০১৩ সালে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। ২০১০ সালে এবং আইনটির একটি বিধিমালা প্রণয়ন হয় এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন (সংশোধিত) বিধিমালা ২০১৫  প্রণয়ন করা হয়।
https://mole.gov.bd/site/view/legislative_information/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE-
জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা, ২০১৩           ২০১৩  সমন্বয়নঃ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা, ২০১৩ শ্রমিকদের কল্যাণ ও অধিকার সুরক্ষা, সুষ্ঠু মালিক-শ্রমিক সমন্বয় ও নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে এ মন্ত্রণালয় প্রতিনিয়ত আইন, বিধিমালা নীতিমালা প্রণয়ন করছে এবং তা যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে পরিবর্তন ও সংস্কার করে যাচ্ছে।
https://policy.gov.bd/policy/ministry-of-labour-and-employment
জাতীয় শিশুশ্রম নিরসরণ নীতিমালা২০১০সমন্বয়নঃ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
ঝুঁকিপূর্ণ ও নিকৃষ্ট ধরনের শ্রমসহ সকল ধরনের শিশুশ্রম হতে শিশুদের প্রত্যাহার করে তাদের জীবনের অর্থপূর্ণ পরিবর্তন সাধনই এ নীতির মূল লক্ষ্য। শ্রমজীবি শিশুদের স্কুলে ফিরিয়ে আনা, শ্রমজীবি শিশুদের দারিদ্রের চক্র হতে বের করে আনার লক্ষ্যে তাদের পিতামাতাদের আয় বৃদ্ধি কর্মকাÐে সম্পৃক্তকরণ এবং আদিবাসী সম্প্রদায় ও প্রতিবন্ধী শিশুদের উপযুক্ত পরিবেশে ফিরিয়ে আনার সহ বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের শিশুশ্রম নির্মূল এই নীতিমালা অন্যতম লক্ষ্য।
https://policy.gov.bd/policy/ministry-of-labour-and-employment
গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি২০০৪সমন্বয়নঃ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর
মানুষ ও পরিবেশের ওপর আর্সেনিকের প্রভাব হ্রাসের জন্য একটি বাস্তববাদী এবং টেকসই উপায়সমূহ নিশ্চিত করা, বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার ও আর্সেনিক আক্রান্ত এলাকায় বিকল্প পানির ব্যবহার এ নীতির মুখ্য উদ্দেশ্য।
http://www.dphe.gov.bd/site/page/df5879cb-6445-4cb4-a748-f83c1b3c0854/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE–%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A6%E0%A7%AA
জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতি২০০১সমন্বয়নঃ ভূমি মন্ত্রণালয়
ভূমির যথেচ্ছ ব্যবহার রোধ এবং ভূমির ব্যবহার যাতে প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে সংগতিপূর্ণ হয় তা নিশ্চিত করা এ নীতির অন্যতম উদ্দেশ্য। এছাড়া ক্রমবর্দমান জনসংখ্যঅর জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত কৃষি জমির সার্বিক পরিমাণ হ্র্রাস পাওয়ার ধারা প্রতিহত করা, বিভিন্ন অঞ্চলের জমির প্রকৃতিগত পার্থক্য অনুসারে সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘জোনিং’ ব্যবস্থা প্রবর্তন, ভূমিহীনদের পুনর্বাসেনর লক্ষ্যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় জেগে ওঠা চরভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা। সরকারি খাস জমি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা, প্রাকৃতিক বনাঞ্চল সংরক্ষণ করা নদী ভাঙন রোধ করা, পাহাড় টিলাভূমি কাটা ইত্যাদি প্রতিহত করা এই নীতির অন্যতম উদ্দেশ্য।
https://minland.gov.bd/site/page/ccc7059d-43a5-45be-bc65-b887f8a78e07/%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF—%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B9/
সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি২০০৯ (সংশোধন) ২০১৮ খসড়া)সমন্বয়নঃ ভূমি মন্ত্রণালয়
দেশের খাস জলাশয় ও জলমহালসমূহ প্রকৃত মৎস্যজীবীদের অনুকূলে বন্দোবস্ত প্রদানে অগ্রাধিকার দেওয়াসহ রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও উৎপাদন বৃদ্ধিসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে সরকারি জলমহাল ব্যাবস্থাপনা নীতি, ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়। এই নীতি আংশিক সংশোধনী হয়ে চুড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায়।
https://minland.gov.bd/site/page/ccc7059d-43a5-45be-bc65-b887f8a78e07/%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF—%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B9/
কমিউনিটি রেডিও স্থাপন, প্রচার ও কার্যক্রম নীতিমালা২০০৮, ২০১৬ (খসড়া)বাংলাদেশ বেতার দেশের প্রাচীনতম এবং একক বৃহত্তম পাবলিক সার্ভিস ব্রডকাস্টার হিসেবে বিগত প্রায় সাত দশক ধরে তথ্য, বিনোদন ও শিক্ষার পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি জাতীয় উন্নয়নে সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছে। অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে বহুমাত্রিক উপযোগিতার দাবি মেটাতে দেশে ব্যক্তি মালিকানায় বাণিজ্যিক এফ. এম. বেতারকেন্দ্র চালু হয়েছে। প্রধানতঃ নগরকেন্দ্রিক এ সকল চ্যানেল বিনোদন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে থাকে। সম্পূরণ নিবেদিত কোন বেতার এখনও গড়ে ওঠেনি। প্রান্তিক এই  জনগোষ্ঠীর মুখের ভাষায় তাদের অংশগ্রহণ ও ব্যবস্থাপনায় স্থাপিত ও পরিচালিত হচ্ছে কমিউনিটি রেডিও স্টেশন, যেখানে প্রান্তিক মানুষের আশা-আকাংক্ষার প্রতিফলন ঘটে, স্থানীয় জনসাধারণের লোকজ জ্ঞান, সম্পদ কিন্তু সমাজের একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে বিভিন্ন সম্প্রচার ও জনগোষ্ঠীর জন্য ও সংস্কৃতি, আধুনিক জ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় রয়েছে।
উপকূলীয় অঞ্চল নীতি     ২০০৫সমন্বয়নঃ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়
উপকূলীয় অঞ্চল দেশের অন্যান্য এলাকা থেকে বিভিন্নভাবে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। সকলের অংশগ্রহণ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে উপকূলীয় সম্পদ ব্যবহারে দ্ব›দ্ব নিরসন এবং বিভিন্ন সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপকূলীয় অঞ্চল নীতিমালা রচিত হয় ২০০৫ সালে। এই নীতি সংশ্লিষ্ট সবাইকে উপকূলীয় অঞ্চলের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের সাধারণ দিক-নির্দেশনা দেয়। এর ফলে উপকূলীয় জনগণ একটি নিরাপদ ও অনুকূল পরিবেশে তাদের জীবন ও জীবিকা নির্বাহ সহজ হবে। উপকূলীয় অঞ্চল নীতি খাত-কেন্দ্রিক পরিধির ঊর্ধ্বে বিভিন্ন খাতের নীতিমালার একটি সমন্বিত রূপ।
https://warpo.portal.gov.bd/sites/default/files/files/warpo.portal.gov.bd/page/50e22033_f149_4dcc_9271_6ff84fe87efb/CZPO_bn.pdf
জাতীয় পানি নীতি          ১৯৯৯সমন্বয়নঃ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়
বাংলদেশে পানি সম্পদ আহরণ, ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহরে শৃঙ্খলা প্রবর্তন করে বিরাজমান বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির অবসান ঘটনোই জাতীয় পানি নীতির উদ্দেশ্য। এই নীতির মাধ্যমে দেশের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক, সমম্বিত, ও সুষম ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পানি নীতির উদ্দেশ্য ভুপরিস্থ ও ভুগর্ভস্থ সব ধরনের পানির উন্নয়ন ও ব্যবহার এবং এ সব সম্পদের দক্ষ ও সুষম ব্যবস্থাপনা, দরিদ্র ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীসহ সমাজের সবার জন্য পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণ এবং নারী ও শিশ্রদের প্রতি বিশেষ মনযোগ দেয়। পানি ব্যবহারের অধিকার নিরূপন ও পানির মূল্য নির্ধারণসহ উপযুক্ত আইনগত, আর্থিক ও উৎসাহমূলক ব্যবস্থাদি গ্রহণের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি পানি সরবরাহ পদ্ধতির টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা, পানি ব্যবস্থাপনা বিকেন্দ্রীকরণ এং এই ব্যবস্থাপনায় নারীর ভূমিকা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক পারিবর্তন সাধন।
http://www.mowr.gov.bd/site/files/328fb561-f1db-4c88-97f1-04ac01eaf851/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A7%A7%E0%A7%AF%E0%A7%AF%E0%A7%AF
বাংলাদেশ পানি আইন     ২০১৩সমন্বয়নঃ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
পানি সংকটাপন্ন এলাকার ব্যবস্থাপনা, ভূগর্ভস্থ পানিধারক স্তরের সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ, জল¯্রােতের স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিতকরণ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সুরক্ষা, জলাধার সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ অঞ্চল ঘোষণা ও তার ব্যবস্থাপনা এবং পানি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কার্যকরে এ আইন প্রধান নির্দেশক হিসেবে গ্রহণীয়।
বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩ (২০১৩ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা ৪৫ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ পানি বিধিমালা ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়।
http://www.mowr.gov.bd/site/files/6cf51188-af70-49fc-8f16-b58f44055aa4/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%A9
বাংলাদেশ পানি বিধিমালা২০১৮সমন্বয়নঃ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩ এর ধারা ৪৫ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার ২০১৮ সালে বাংলাদেশ পানি বিধিমালা ২০১৮ প্রণয়ণ করে।
পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা সুপেয় পানি এবং পরিচ্ছন্নতা ও পয়ঃনিষ্কাশনের লক্ষ্যে ধারা ৩ এবং এই বিধিমালার অধীন পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্বাহী কমিটির নির্দেশসমূহ বাস্তবায়ন করবে।
ধারা ৭ এর উদ্দেশ্য পূরনকল্পে, বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠানের সাথে পারস্পরিক সহযোগিতার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ উহার কার্যবিধির আওতাধীন আন্তঃদেশীয় নদী ও অন্যান্য পানি সম্পদ তথ্য উপাত্ত নিজ উদ্যোগে সংগ্রহ করিবে এবং উহা পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার জাতীয় পানি সম্পদ তথ্য-উপাত্ত ভান্ডার (NWRD) এ সংরক্ষণ করিবার জন্য সরবরাহ করিবে।
http://www.mowr.gov.bd/site/files/bb55b3d6-86c7-4931-a4cf-b3c66f2a6564/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE
জাতীয় বন নীতি ২০১৬ (খসড়া) ১৯৯৪, ২০১৬ (খসড়া)সমন্বয়নঃ পরিবশে ও বন মন্ত্রণালয়।
প্রথম বননীতি কার্যকর হয় ১৯৮৪ সালে, এর মূল উদ্দেশ্য ছিল বনভূমি সংরক্ষিত করার কার্যক্রমকে সমর্থন প্রদান এবং বনজ সম্পদ আহরণের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি। পরবর্তীতে ১৯৫৫, ১৯৬২, ১৯৭৯ এবং সর্বশেষ সংশোধীত জাতীয় বননীতি ১৯৯৪ এবং এখন বননীতি ২০১৬ (খসড়া) করা হয়। এই নীতির প্রধান লক্ষ্য হলো দেশের সকল বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ন্যায়সঙ্গত সুবিধার জন্য টেকসই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা, অবক্ষয়িত বনাঞ্চলে বনসমৃদ্ধকরণ, বহু ধরনের পণ্য ও বাস্তুতান্ত্রিক সেবা উৎপাদনের নিমিত্ত বন ও ভূমির আয়তন সম্প্রসারণ নীতির ওপর বিদ্যমান সকল বন, বন্যপ্রাণী, অন্যান্য বনজসম্পদ ব্যবস্থাপনা সুনিশ্চিত করা। জাতীয় বননীতির অন্যতম একটি উদ্দেশ্য হলো বনজ সম্পদের বিনাশ ও বনের অবক্ষয় রোধকল্পে যথাযথ কর্মসূচি এবং প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০% ঘনত্ব সম্পন্ন দেশের বৃক্ষাচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ ২০৩৫ সালের মধ্যে ন্যূনতম ২০% বৃক্ষচ্ছাদিত এলাকাসমৃদ্ধ এবং সম্প্রসারণ করা।
https://moef.gov.bd/site/page/f87ea657-1f50-45c8-8fa8-084a066c9d71/%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF,-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BF
জলাধার সংরক্ষণ আইন২০০০সমন্বয়নঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়
মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের পৌর এলাকাসহ দেশের সকল পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণের জন্য প্রণীত আইন৷
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশগত মান উন্নয়ন, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমন-এ সময়োপযোগী, কার্যকর ও শক্তিশালী একটি আইন। এ আইনটি ২০১০ সালে সংশোধনের মাধ্যমে জলাধার সংক্রান্ত বিধান সংযোজন করা হয়েছে।
এ আইনে “প্রাকৃতিক জলাধার” অর্থ নদী, খাল, বিল, দীঘি, ঝর্ণা বা জলাশয় হিসাবে মাষ্টার প্লানে চিহ্নিত বা সরকার, স্থানীয় সরকার বা কোন সংস্থা কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বন্যা প্রবাহ এলাকা হিসাবে ঘোষিত কোন জায়গা এবং সলিল পানি ও বৃষ্টির পানি ধারণ করে এমন কোন ভূমিও এর অন্তর্ভুক্ত হবে বলে নির্দিষ্ট করা হয়েছে;
“কর্তৃপক্ষ” অর্থ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত কোন শহর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, সিটি কর্পোরেশন এবং বিভাগীয় ও জেলা শহরের পৌরসভাসহ দেশের সকল পৌরসভা;
এই আইনের বিধান অনুযায়ী ব্যতীত, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং প্রাকৃতিক জলাধার হিসাবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণী পরিবর্তন করা যাবে না বা উক্তরূপ জায়গা অন্য কোনভাবে ব্যবহার করা যাবে না বা অনুরূপ ব্যবহারের জন্য ভাড়া, ইজারা বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তর করা যাবে না৷
কোন জায়গা বা জায়গার অংশবিশেষের শ্রেণী পরিবর্তন করার প্রয়োজন হলে উক্ত জায়গার মালিক, প্রস্তাবিত পরিবর্তনের কারণ লিপিবদ্ধ করে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের নিকট আবেদন করবে৷ আবেদনপত্র প্রাপ্তির ৬০ দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষ আবেদনপত্রটি বিবেচনা করে আবেদনাধীন জায়গার শ্রেণী পরিবর্তন জনস্বার্থে সমীচীন হবে কিনা সেই সম্পর্কে, অন্যান্যের মধ্যে, নি¤œবর্ণিত বিষয়ের উপর সুষ্পষ্ট মতামত এবং সুপারিশ সহকারে আবেদনটি সরকার বরাবরে প্রেরণ করবে, যথা:-
(ক) আবেদনাধীন জায়গার শ্রেণী পরিবর্তন করা হইলে মাষ্টার প্লানের উদ্দেশ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা, হলে এর পরিমাণ; এবং
(খ) শ্রেণী পরিবর্তনজনিত কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিবেশের উপর কোন ক্ষতিকর প্রভাব পড়িবে কিনা বা বসবাসকারীগণের অন্য কোনপ্রকার ক্ষতি হইবার সম্ভাবনা আছে কিনা৷
কোন ব্যক্তি এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি অনধিক ৫ বৎসরের কারাদন্ডে বা অনধিক ৫০(পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদন্ডে অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হবেন৷বিধান লঙ্ঘন করে যদি কোন জায়গা বা জায়গার অংশ বিশেষের শ্রেণী পরিবর্তন করা হয়, তা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নোটিশ দ্বারা জমির মালিককে অথবা বিধান লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিকে নোটিশে উল্লেখিত জায়গার শ্রেণী পরিবর্তনের কাজে বাধা প্রদান করতে পারবে এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে অননুমোদিত নির্মাণ কাজ ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিতে পারবে এবং অন্য কোন আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, উক্তরূপ ভেঙ্গে ফেলার জন্য কোন ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে না৷
http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-print-847.html
অভ্যন্তরীন জাহাজ বিধিমালা/
অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন বিধিমালা
এই বিধিমালা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন (নৌরুট পারমিট, সময়সূচি, ও ভাড়া নির্ধারণ) বিধিমালা ২০১৯ নামে অভিহিত।সমন্বয়নঃ নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়
Inland Shipping Ordinance, 1976 (Ordinance No. LXXII of 1976, এর section 82, section 54 এবং 59 এর সহিত পঠিতব্য।
এই বিধিমালা Inland Shipping Ordinance, 1976 (Ordinance No. LXXII of 1976) এ বর্ণিত সকল ধরনের নৌযান এবং Bangladesh Merchant Shipping Ordinance 1983 (Ordinance No. XXVI of 1983) এর আওতাধীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহারকারী সকল ধরনের নৌযানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।  
 
http://www.biwta.gov.bd/site/page/536ee132-ef82-4950-beda-86905dc47a83/-  
নদী রক্ষা কমিশন আইননদীর অবৈধ দখল, পানি ও পরিবেশ দূষণ, শিল্প কারখানা কর্তৃক সৃষ্ট নদী দূষণ, অবৈধ কাঠামো নির্মাণ ও নানাবিধ অনিয়ম রোধকল্পে এবং নদী স্বাভাবিক প্রবাহ পুনরুদ্ধার, নদীর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ এবং নৌ পরিবহনযোগ্য হিসাবে গড়ে তোলাসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নদীর বহুমাত্রিক ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রয়োজনে একটি কমিশন গঠনের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন। এটি নদী কমিশন আইন ২০১৩  নামে অভিহিত। এ আইনে ০৫ (পাচ) সদস্য বিশিষ্ট একটি স্বতন্ত্র কমিশন গঠন করার বিধান রয়েছে। এ আইনের অধীন কমিশন নদীর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল  মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কার্যাবলির মধ্যে সমম্বয়ের লক্ষ্যে, নদী দখল, দুষণ, ভরাট ও খনন, প্রতিবেশ, জনসচেতনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারকে সুপারিশ প্রদান করতে পারবে।
 
নদীর অবৈধ দখল, পানি ও পরিবেশ দূষণ, শিল্প কারখানা কর্তৃক সৃষ্ট নদী দূষণ, অবৈধ কাঠামো নির্মাণ ও নানাবিধ অনিয়ম রোধকল্পে এবং নদী স্বাভাবিক প্রবাহ পুনরুদ্ধার, নদীর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ এবং নৌ পরিবহনযোগ্য হিসাবে গড়ে তোলাসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নদীর বহুমাত্রিক ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রয়োজনে একটি কমিশন গঠনের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন।
 
https://minland.gov.bd/sites/default/files/files/minland.portal.gov.bd/law/e58f88e3_b1be_4ae5_a1b6_936956d6e6c1/National%20River%20Protection%20Commission%20Act,%202013.pdf

Leave a Reply