২০২৩ সালের বজ্রপাতের হালনাগাদ তথ্য ও করণীয়:
২০২৩ সালের মার্চ থেকে মে (৩১) পর্যন্ত বজ্রপাতে মোট মারা গিয়েছে ১৩৫ জন (মার্চ মাসে ২২ জন + এপ্রিল মাসে ৪৫ + মে মাসে ৬৮ জন) জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বজ্রপাতের কোন ঘটনা ঘটেনি। এর মধ্যে শিশু ২৩ জন (মার্চ মাসে ২ জন, এপ্রিল মাসে ৯ ও মে মাসে ১৩ জন)। এছাড়া বজ্রপাতে নারী মারা গিয়েছে ৮ জন (মার্চ মাসে ২ জন, এপ্রিল মাসে ৩ জন ও মে মাসে ৩ জন ) এবং পুরুষ ১০১ জন (মার্চ মাসে ১৮ জন, এপ্রিল মাসে ৩৩ ও মে মাসে ৫২ জন)। আহত হয়েছেন মোট ৪৩ জন।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মারা গিয়েছে ঢাকা বিভাগে ৩১ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৪ জন ও সিলেট বিভাগে ২৩ জন। জেলাভিত্তিক সুনামগঞ্জ জেলায় ১১ জন এবং শরীয়তপুর ও নরসিংদী জেলায় ৭ জন এবং সিরাজগঞ্জ, পাবনা, সিলেট ও চাপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৬ জন মারা গিয়েছে।
মার্চ মাসে কৃষক মারা গিয়েছে ১০ জন, এপ্রিল মাসে কৃষক মারা গিয়েছে ৩১ জন এবং মে মাসে এখন পর্যন্ত কৃষক মারা গিয়েছে ৩২ জন।
২০২২ সালে বজ্রপাতে মোট ৩১৬ জন মারা গিয়েছে এর মধ্যে শিশু ৫১ জন, নারী ৩৩ জন এবং পুরুষ ২৩২ জন। আহত হয়েছেন ১৩৭ জন।
গত ২৮ মে থেকে সারাদেশের উপর তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে এটি জুন মাসের ৯ তারিখ পর্যন্ত এর প্রভাব থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তাপপ্রবাহ চলাকালীন সময়ে দেশের কিছু কিছু এলাকায় আকস্মিকভাবে যে বৃষ্টি একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে তা নয়, অল্প কিছু এলাকা খুবই সাময়িক সময়ের জন্য বজ্রবৃষ্টি হতে পারে দমকা হাওয়া সহ। এই সময়ে কোন কোন বৃষ্টিপাতে বজ্রপাত মারাত্মক ভয়াবহ আকারে থাকতে পারে, সুতরাং মেঘ দেখলেই দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
বজ্রপাত থেকে রক্ষায় করণীয় সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইয়াসির আরাফাত বজ্রপাতে মৃত্যুর হার কমানোর জন্য ৩০-৩০ নিয়মের দিকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
৩০-৩০ নিয়মঃ প্রথম বজ্রপাতের ঝলকানি দেখা/শব্দ শোনা মাত্র ঘড়ি, মোবাইল, বা স্টপওয়াচ এর সাহায্যে ৩০ পর্যন্ত গণনা করে একটা পরিমাপ নিতে হবে। যদি এগুলো না থাকে দিয়ে হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে স্বাভাবিক বিরতি দিয়ে ৩০ পর্যন্ত গণনা করে একটা পরিমাপ নিতে হবে। ঝলকানি দেখা ও শব্দ শোনার মাঝে যদি ৩০ সেকেন্ড বা তারচেয়ে কম সময় থাকে তাহলে জীবন বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়ে (পানিরোধী ছাদযুক্ত, শুকনা মেঝে/ফ্লোর বিশিষ্ট এবং বজ্রনিরোধক ব্যবস্থা যুক্ত স্থাপনা) অবস্থান করা। একই স্থানে যতক্ষণ বজ্রপাত চলবে ততোক্ষণ নিরাপদ আশ্রয়ের অভ্যন্তরে থাকা আর বজ্রপাত থেমে গেলেও অতিরিক্ত আরও ৩০ মিনিট নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করা আর লক্ষ্য করা বজ্রপাত বন্ধ হয়েছে নাকি যদি বজ্রপাত আবারও শুরু হয় তাহলে নিরাপদ আশ্রয়ের অভ্যন্তরে থাকা।
বজ্রপাত থেকে রক্ষায় করণীয় সম্পর্কে আরও জানতে নিচের দেয়া লিঙ্কটি ভিজিট করুন-