বাংলাদেশের উপর ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র ঝুঁকি কমছে

পরিস্থিতি প্রতিবেদন-১২ ১৪ মে ২০২৩

বাংলাদেশের উপর মোখার ঝুঁকি কমছে, মিয়ানমারে ক্ষয়ক্ষতি বেশী হওয়ার সম্ভাবনা

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্র ও ডান পাশ মিয়ানমারের দিকে যাওয়ায় বাংলাদেশের ঝুঁকি কমেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৯৫ কিলোমিটার যা দমকা হাওয়া আকারে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি ঘণ্টায় ১৭ কিলোমিটার গতিতে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগোচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের তথ্যমতে, এই গতি যদি অপরিবর্তিত থাকে তাহলে আজকের (১৪ মে ২০২৩) দুপুর ১২টা থেকে ৩ টার মধ্যে ঝড়টি উপকূল অতিক্রম করবে।

যেহেতু আজকের (১৪ মে ২০২৩) টাইড ফোরকাস্ট তথ্য অনুযায়ী কক্সবাজারে দুপুর ১১.৫৯ থেকে জোয়ার শুরু হয়েছে এবং সন্ধ্যা ৬.১২ টায় জোয়ারের পানি ৯ থেকে ১০ ফুট থাকবে সাথে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ ফুট উচুঁ জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। যেহেতু দুপুর ১২ টার পরে আবারও জোয়ার শুরু হয়েছে, সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপে ঘুর্ণিঝড় মোখা এর প্রভাব পড়বে এতে ভারি বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড় বাতাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ু বিভাগ অধ্যায়নরত একজন বাংলাদেশি গবেষক। তিনি জানান ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের পিছনের অর্ধেক অংশ উপকূল অতিক্রম করতে ৬ ঘন্টার মতো সময় লাগতে পারে।

তবে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে আগামী ২৪-৪৮ ঘন্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকা ও পার্বত্য অববাহিকার স্থানসমূহের এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকার অধিকাংশ স্থানে মাঝারী থেকে ভারী/ অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তর দিয়েছেন।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, এই সময় দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য অববাহিকার মুহুরী, হালদা, কর্ণফুলী, সাঙ্গু, মাতামুহরী, বাকঁখালি, নাফ নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এই নদী অববাহিকাসমূহের কতিপয় নিম্নাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। এতে আগামী ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলার অনেক স্থান আকস্মিক বন্যা বা ভূমিধ্বসের ঝুকিঁতে রয়েছে। তাছাড়াও অতিভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে কক্সবাজার সদর, রামু, টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় অনেক স্থান আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধ্বসের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।

ছবিসূত্র: বাংলা ট্রিবিউন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *