মোটাদের ছেড়ে দিয়ে বেঁড়েদের ধর

ঋণখেলাপি কৃষক নিয়ে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় লিখেছেন গওহার নঈম ওয়ারা (প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২২)

চাষিদের সেধে–সেধে ঋণ দিয়ে আবার ঋণখেলাপি বানিয়ে হাতকড়া পরিয়ে জেলে ঢোকানো হয়েছে। এভাবে কৃষকদের ভয়ভীতি দেখালে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে।

গাছ থেকে ফল পাড়তে গেলে মানুষ প্রথমে হাতের নাগালে থাকা ফলগুলো দিয়ে শুরু করে। মগডালের ফলে পরে হাত দেয়। কোনো কোনোটা নাগালের বাইরেই থেকে যায়। এ দেশের প্রান্তিক চাষিরা সে রকম। তাঁদের সহজে হাতের নাগালে পাওয়া যায়, কোমর বেঁধে নেওয়া যায়। কারাগারে আটকে রাখা যায়। উকিল ধরার পয়সা নেই, ফলে তাঁদের দিয়ে কয়েদখানা পূর্ণ করা যায়।

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারি উত্তরপাড়া সবজিচাষি সমিতির ৩৭ জন হতভাগা চাষির কথা এখন দেশের মোটামুটি সবার জানা। তাঁরা ২০১৬ সালের কোনো এক কুক্ষণে সমবায় ব্যাংক থেকে ২৫–৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তাঁদের মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ টাকা। ভাড়ইমারি সবজি সমিতির সভাপতি ও ছলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত নারী সদস্য বিলকিস বেগম তাঁদের বুঝিয়ে ছিলেন, ঋণের সুদ তেমন একটা বেশি নয়। নামমাত্র সুদ। চাষাবাদে বিনিয়োগ করলে লাভ হবে অনেক। পরে চাষিরা জানতে পারেন, কাগজে নাকি ১৫ শতাংশ হারে সুদের কথা লেখা আছে। সুদ–আসল মিলিয়ে তাঁদের ঋণের টাকা ফেরত দিতে হবে।

ধরে নিয়ে যাওয়া দুই চাষি ও তাঁদের মায়েরা দাবি করেছেন, ব্যাংক আর চাষিদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী ইউপি নারী সদস্য বিলকিস বেগম সুদের বিষয়ে ভুল বুঝিয়েছেন। তিনি ধাপ্পাবাজি করে কৃষকদের এই ঋণ নিতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। চাষিরা এমন ‘প্রতারণাপূর্ণ’ আচরণের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। কৃষক ও তাঁদের পরিবারের দাবি, ঋণ গ্রহণের পর এক বছরের মাথায় অধিকাংশ ঋণগ্রহীতা তাঁদের ঋণ পরিশোধ করেছেন। তাঁদের কাছে সেই পাস বই ও জমা স্লিপও আছে। সেই অর্থ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তাঁদের কারণে ঋণগ্রহীতাদের হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

কৃষকেরা বলছেন, ঋণের সুদের হারের কথা শুনে তাঁরা ক্ষুব্ধ ছিলেন। তারপরও দাঁতে দাঁত চেপে কথিত ১৫ লাখের মধ্যে ১৩ লাখ টাকা তাঁরা পরিশোধ করেছেন। কিন্তু ব্যাংকের কর্মকর্তারা আরও ১২ লাখ টাকা দাবি করে মামলা ঠুকে দেন। ঋণখেলাপি মামলা। শক্ত মামলা। খেলাপিদের আয়ত্তে না আনলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ঋণ পাওয়া যাবে না—এমন কথা হাওয়ায় ভাসছে। তারা নাকি বলে বেড়াচ্ছে, ‘এ দেশে একটা নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষের মধ্যে ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ার প্রবণতা কাজ করে। প্রভাবশালী ও ধনী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ওপর মহলের যোগাযোগ ভালো। তাঁরা ঋণ ফেরত দেওয়ার তাগিদই অনুভব করেন না। কারণ, তাঁরা জানেন, ঋণ ফেরত না দিলেও তাঁদের কিছু হবে না।’

কাঁহাতক এমন বদনাম সহ্য করা যায়। আদালত কঠোর হলেন, বলে দিলেন ‘খেলাপিকে পাকড়াও।’ আদালতের পরোয়ানা পেয়ে ঋণখেলাপিদের ধরতে ব্যতিব্যস্ত পুলিশ। গাজরের খেতে কাজ করছিলেন ১২ জন চাষি, তাঁদের ধরে চালান করে দেওয়া হলো গারদে।

তবে শেষ পর্যন্ত ঈশ্বরদীতে ঈশ্বর মুখ তুলে তাকিয়েছেন। মামলার দড়ি ছেঁড়েনি, তবে হাতকড়া খুলে দেওয়া হয়েছে ১২ জন দিনমজুর চাষির। আদালত এই ১২ জনসহ ৩৭ চাষিকে জামিন দিয়েছেন। এরপর জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার এলান করে দিয়েছেন, থানা-পুলিশের ভয়ে পালিয়ে থাকা বাকি ২৫ চাষিকেও আর হয়রানি করা হবে না। তাঁরা নাকি গিয়ে ওসব সাহেবের সঙ্গে দেখা করে ধন্যবাদ জানিয়ে এসেছেন। এক রাতে এত পরিবর্তন প্রতিপালকের ইশারা ছাড়া সম্ভব নয়। ইশারা–ইশারাতেই হয় গায়েবি বস্তু। তাই দাখিল করার মতো প্রমাণ থাকে না। যার প্রমাণ নেই, তা নিয়ে বাহাস করা ঠিক নয়।

ধরেবেঁধে কেন ঋণ দেওয়া-নেওয়ার খেলা?

বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেড (বিপিআই) স্বায়ত্তশাসিত একটি জাতীয় গবেষণা ইনস্টিটিউট, যা একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে কাজ করে। অবিভক্ত বাংলায় সমবায় সমিতি ও কৃষক পর্যায়ে ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যে সরকারি উদ্যোগে ১৯২২ সালে সমবায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশভাগের পর কলকাতায় থাকা ব্যাংকের সদর দপ্তর সেখানেই থেকে যায়। ফলে পূর্ব বাংলার (বর্তমান বাংলাদেশ) সমবায় প্রতিষ্ঠান ও কৃষক পর্যায়ে কৃষিঋণ প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরে ১৯৪৮ সালের ৩১ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানে প্রাদেশিক সমবায় ব্যাংক লি. নামে একটি সমবায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়।

কাগজপত্রে দেখা যায়, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কাজ হচ্ছে দেশের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের গবেষণা ও পরিকল্পনা পরিচালনা এবং কৃষক ও কৃষি খাতে ঋণসহায়তা দেওয়া। ইদানীং এই ব্যাংক সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ব্যক্তিগত ঋণ দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে।

ধরেবেঁধে কেন ঋণ দেওয়া-নেওয়ার খেলা?

বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেড (বিপিআই) স্বায়ত্তশাসিত একটি জাতীয় গবেষণা ইনস্টিটিউট, যা একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে কাজ করে। অবিভক্ত বাংলায় সমবায় সমিতি ও কৃষক পর্যায়ে ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যে সরকারি উদ্যোগে ১৯২২ সালে সমবায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশভাগের পর কলকাতায় থাকা ব্যাংকের সদর দপ্তর সেখানেই থেকে যায়। ফলে পূর্ব বাংলার (বর্তমান বাংলাদেশ) সমবায় প্রতিষ্ঠান ও কৃষক পর্যায়ে কৃষিঋণ প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরে ১৯৪৮ সালের ৩১ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানে প্রাদেশিক সমবায় ব্যাংক লি. নামে একটি সমবায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়।

কাগজপত্রে দেখা যায়, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কাজ হচ্ছে দেশের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের গবেষণা ও পরিকল্পনা পরিচালনা এবং কৃষক ও কৃষি খাতে ঋণসহায়তা দেওয়া। ইদানীং এই ব্যাংক সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ব্যক্তিগত ঋণ দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে।

যেকোনো ব্যাংকই টাকা জমা রাখার চেয়ে ঋণ দেওয়াকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আমানতকারীদের সঙ্গে চড়া সুরে কথা বললেও ঋণ নেওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের চমৎকার ব্যবহার। ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য ব্যবসা। ব্যাংকের লক্ষ্য অনুযায়ী ঋণ বেচতে না পারলে শাখা ব্যবস্থাপকদের খবর আছে। ঈশ্বরদীতে কথিত ঋণের ক্ষেত্রে চাষিদের জন্য যে একটা ফাঁদ পাতা হয়েছিল, সেটা বুঝতে গবেষক হওয়া লাগে না। ছলিমপুর ইউপির সংরক্ষিত নারী সদস্যের সঙ্গে সমবায় ব্যাংকের কী কথা হয়েছিল, আর তিনি চাষিদের কী বুঝিয়ে ঋণের কাগজপত্রে সই করিয়েছিলেন, সেটা জানা খুব দরকার। বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণ কার্যক্রমে মধ্যস্বত্বভোগীদের একটা বখরা থাকে। তাঁদের কাজ অনেকটা ঘটকের মতো, দুই পক্ষকেই রেখেঢেকে তাঁরা শুধু ভালো বার্তাগুলোই দেন।

গরিব চাষিদের কৃষিঋণ দেওয়ার আগে সম্ভাব্যতা, ঝুঁকি, কৃষিপণ্য বাজারজাত করার নিশ্চয়তা ইত্যাদি বিষয় মূল্যায়ন দরকার ছিল। দরকার ছিল বীজ–সার–পানির নিশ্চয়তা আর সঠিক পরামর্শ দেওয়া। কৃষকদের জন্য এসব কিছু করার ক্ষমতা না থাকলে কৃষিঋণের খেলায় না নামাই ভালো। সম্প্রতি রাজশাহী থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধি আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদের একটি প্রতিবেদনের কথা এখানে না বললেই নয়। তাঁর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, একসময়ের জাতীয় পুরস্কার পাওয়া কৃষকেরা ঋণ নিয়ে কীভাবে পথে বসে গেছেন। এসব কৃষক নিজের চেষ্টায় সফল হয়েছিলেন। তারপর ব্যাংকবাবুরা সেধে-সেধে তাঁদের ঋণ দিয়ে কাঙাল বানিয়েছেন। তাঁদের চাষের জমি, বাগান ও খামার নিলামে উঠেছে। তাঁরা নিজেদের সংকটের জন্য বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে ব্যাংকের অসহযোগিতাকেও তাঁরা দায়ী করছেন।

ব্যাংকঋণ নিয়ে সর্বস্ব হারানো এসব কৃষকের দুর্গতির কথা শুনে এখন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষকদের এই ঋণের বিপরীতে গড়া খামার ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা ও প্রশিক্ষণ ছিল কি না, ঝুঁকি নিরসনের ব্যবস্থা ছিল কি না, বিমা সুরক্ষা ছিল কি না—সেগুলো ব্যাংকের যাচাই-বাছাই করা উচিত ছিল। কিন্তু কেন হয়নি, সে প্রশ্ন এখন কে কাকে করবে?

চাষিদের আটকানোর নিত্যনতুন পথ

ঈশ্বরদীর চাষিদের নিয়ে গণমাধ্যম আর মৃতপ্রায় সংগঠনগুলো বেশ সরব হয়েছে। কিন্তু ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে যখন কৃষকদের জেল–জরিমানার বিধান রেখে নতুন আইন হয়েছিল, তখন কি কেউ প্রতিবাদ করেছিলেন? বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনকে (বিএডিসি) বেগবান করতে ১৯৬১ সালে পাকিস্তানের করা একটা অধ্যাদেশকে ঘষামাজা করে আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনে কৃষকদের নানা ধরনের অপরাধের জন্য সর্বনিম্ন ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন আইন-২০১৮–এর ২৮ ধারা অনুযায়ী, কেউ (চাষিদের উদ্দেশ করে বলা) বিএডিসির নোটিশ অমান্য করলে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। পরে একই অপরাধ করলে প্রতিদিন ৫০ টাকা হারে জরিমানা দিতে হবে। এই আইনে চাষির ওপরে ঠিকাদারকে স্থান দেওয়া হয়েছে।

আইনের ৩১ ধারায় বলা হয়েছে, বিএডিসি নিযুক্ত কোনো ঠিকাদারকে কাজে বাধা দিলে বা নিপীড়ন করলে দায়ী ব্যক্তিকে সর্বনিম্ন ৬ মাসের জেল, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।

৩২ ধারায় বলা হয়েছে, বিএডিসি অননুমোদিত জমিতে চাষাবাদ করলে সর্বনিম্ন ৬ মাসের জেল, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। তবে করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের লিখিত অনুমোদন ছাড়া কেউ এই আদালত পরিচালনা করতে পারবেন না।

চাষিদের এসব বিপদ থেকে বাঁচার উপায় কী

গরিব চাষিদের ঋণ লাগবে, সেটা তাঁদের অধিকার। কিন্তু তাঁদের যখন-তখন কারাগারে পুরলে খাদ্যনিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়বে, দেশ পুড়বে ক্ষুধায়। সরকারের নানা প্রতিষ্ঠানকে নানা কাজে তাঁদের জমি ব্যবহার করতে হয়। এসব নিয়ে ঝুট-ঝামেলা হতেই পারে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে অবিভক্ত ভারতে শুধু বাংলার কৃষককে বাঁচাতে ১৯৩৫ সালে ‘ঋণ সালিসি বোর্ড’ গঠনের সুপারিশ করা হয়। ১৯৩৬ সালের বেঙ্গল অ্যাগ্রিকালচারাল ডেটরস অ্যাক্ট (১৯৩৬-এর বেঙ্গল অ্যাক্ট ৭)-এর অধীনে ১৯৩৭ সালে সারা বাংলায় প্রায় ১১ হাজার ঋণ সালিসি বোর্ড গঠন করা হয়। ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতের বাংলা প্রদেশে অসহায় ও ঋণগ্রস্ত কৃষকেরা যাতে নিজেদের জমির দখল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন, সে লক্ষ্যে তাঁদের আর্থিক সহায়তা দিতে এই ব্যবস্থা চালু হয়। এই আইনের ফলে কৃষকেরা তৎকালীন অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান ও মহাজনের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। একই সঙ্গে তাঁদের হারানো সম্পত্তি ও কৃষিজমি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হন। এমনকি সুদের দায়–দেনার কারণে ৪০ বছর আগে লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান বা মহাজনের দখল করে নেওয়া জমিও ফেরত পান সাধারণ কৃষক।

কালে কালে এই আইন বাংলার খাদ্যনিরাপত্তার মেরুদণ্ড হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ ঋণ সালিসি আইন, ১৯৮৯ (১৯৮৯ সালের ১৫ নম্বর আইন) নামে পরিবর্তিত ব্রিটিশ আমলের সেই আইন এখনো আছে। এই আইনে প্রতিটি বা যেকোনো উপজেলায় একটি ঋণ সালিসি বোর্ড গঠন করার প্রবিধান আছে। এই আইনের পরিধি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। ছোট আর মাঝারি আকারের সব কৃষিঋণকে এই আইনের আওতায় আনা যায়। কৃষি তখনই বাঁচবে, যখন চাষি হাসবেন। পুলিশ আর হাতকড়ার ভীতিতে তাঁরা সিঁটিয়ে থাকবেন না।

Leave a Reply