সর্বশেষ পরিস্থিতি #৮, ৩০ মে ২০২১
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্রমতে, মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে রাঙ্গামাটি, ফেনী, নোয়াখালী, রংপুর, খুলনা, যশোর জেলাসহ সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
গতকাল (শনিবার, ২৯ মে ২০২১) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙ্গামাটি জেলায়, ৩৭.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস, সিলেট বিভাগে ৩৬.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস, খুলনা জেলায় ৩৬ ডিগ্রী, এবং ঢাকায় ৩৫.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে শিশু, প্রবীণ ব্যক্তি, দিনমজুর এবং কৃষিশ্রমিক।
অতিরিক্ত এই গরমে হতে পারে হিটস্ট্রোক
তীব্র এই গরমে আমাদের শরীরে পানিশূণ্যতার সম্ভাবনা থাকে। অনেক সময় মানুষ বিশেষ করে শিশুরা মূর্ছা যেতে পারে। গরমে সবচেয়ে মারাত্মক সমস্যা হলো হিটস্ট্রোক। শুরুতে হিটস্ট্রোকের আগে হিটক্র্যাম্প দেখা দেয়, যাতে শরীর ব্যাথা করে, দুর্বল লাগে এবং প্রচন্ড পিপাসা লাগে। পরবর্তী সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, মাথাব্যাথা করে এবং রোগী অসংলগ্ন আচরণ করতে থাকে। এ অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় এবং শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফা. ছাড়িয়ে যায়। এটাই হিটস্ট্রোক।
লক্ষণগুলো | করণীয় |
• তাপমাত্রা দ্রুত ১০৫ ডিগ্রি ফা. ছাড়িয়ে যায়। • ঘাম বন্ধ হয়ে যায় এবং ত্বক শুষ্ক ও লাল হয়ে যায়। • নিঃশ্বাস দ্রুত হয়। • নাড়ির স্পন্দন ক্ষীণ ও দ্রুত হয়। • রক্তচাপ কমে যায়। • খিঁচুনি হয়, মাথা ঝিমঝিম করে। • রোগী অসংলগ্ন ব্যবহার করতে থাকে । • রোগীর প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। • অজ্ঞান হয়ে যায়, এমনকি শকেও চলে যেতে পারে। | • যথাসম্ভব ঘরের ভেতরে বা ছায়ায় থাকতে হবে। • বাইরে বের হলে রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। • বাসা থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে বের হবেন (যেমন; ছাতা, পানি, রুমাল ইত্যাদি সাথে নেয়া এবং সুতি ও হালকা কাপড় পরিধান করা)। • দিনে কমপক্ষে ৩ লিটার পানি পান করুন। • নিজে পরিমাণ মতো পানি পান করুন এবং সবাইকে পান করতে বলুন। • রক্তচাপ নিয়মিত পরীক্ষা করুন। • ঠিকমতো গোসল করুন; শরীর ঘাম ও ময়লামুক্ত রাখতে হবে। • ফল ও শাক্ সবজি বেশি করে খান। চা ও কফি যথাসম্ভব কম পান করা উচিত। • ঘরের ভিতর বালতিভর্তি পানি রাখা ভাল। তবে সেটা শিশুদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে। • নিজের এবং শিশু বা প্রবীণদের ঠোঁট ও চোখের মণি স্বাভাবিক আছে কিনা দেখুন। • শ্রমসাধ্য কাজ যথাসম্ভব কম করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কিছুক্ষণপরপর বিশ্রাম নিতে হবে। • পানিশূন্যতা দূর করার জন্য বার বার পানি ও স্যালাইন পান করতে হবে। • প্রবীণরা অনেকক্ষণ রোদে চলাফেরা বা কাজকর্ম না করে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। |