সতর্কতা বার্তা ৭: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
শীত শুরু হয়েছে, শীতের সময় অনেকেই ব্যবহৃত বা পুরানো শীত বস্ত্র সংগ্রহ ও বিতরণের উদ্যোগ নেন। অনেকেই ইতিমধ্যে শীত বস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নিচ্ছেন। তবে ব্যবহৃত শীত বস্ত্র বিতরণে কিছু বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখা প্রয়োজন সবারই।
কাপড় বিতরণে আমাদের অবশ্যই যা করতে হবে……
১) কাপড় বিতরণ করার সময় নতুন কাপড় বিতরণ করাকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।
২) যদি পুরনো কাপড় দিতে হয় অবশ্যই সেটা খুব ভালো করে কেচে দুই দিক ইস্ত্রি করে মানে যথাযথ লন্ড্রি করে তবেই দিতে হবে। পুরনো কাপড়ের মাধ্যমে রোগ ছড়ায়। অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের এমনিতেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাই এসব না কাচা, বা যথাযথ লন্ড্রি না করা কাপড়ের ভিতরের থাকা নানা চর্ম রোগের জীবানু খুব সহজেই ব্যবহারকারীদের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। কাজেই পুরনো কাপড় সংগ্রহের সময় বলে দিতে হবে যেন কাপড় যথাযথ সাবান, সোডা দিয়ে কেচে রোদে শুকিয়ে তারপর দুইদিক ইস্ত্রি করে তবেই যেন দেয়।
৩) গবেষকদের মতে পুরনো কাপড়ের মাধ্যমে সাধারণত যে সব রোগ ছড়াতে পারে সেগুলি হচ্ছে; ঠান্ডা জ্বর, অ্যামিবিক আমাশয়, আমাশয়, গনোরিয়া, উকুন ও ছারপোকাবাহিত রোগ, হাম, চিকেন পক্স, মামস, টনসিল, জার্মান হাম, সোয়াইন ফ্লু, হাত-মুখ ও পায়ের নানা রোগ ইত্যাদি।
৩) পুরনো কাপড়ে শিশুর বিষক্রিয়া হলে প্রাথমিকভাবে যে সব আলামত দেখা দেবে সেগুলি হচ্ছে জ্বর, কাশি, মাথাব্যথা, সারা গায়ে বা শরীরে বিশেষ বিশেষ জায়গায় ঘামাচির মতো বস্তু, তলপেটে ব্যথা, নাক দিয়ে পানি ঝরা, বমি বমি ভাব, বমি করা ইত্যাদি। পুরনো কাপড় গায়ে দেয়ার পর শিশুর বা বড়দের এসব উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে সব পুরনো কাপড় পাল্টে ফেলতে হবে। পুরনো কাপড় শরীরে রেখে এসব উপসর্গ থেকে উত্তরণের জন্য ওষুধ খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
৪) বিতরণের সময় কোনো অবস্থাতেই ব্যবহৃত ভিতরে পরার কাপড় যেমন গেঞ্জি, আন্ডারওয়ার ইত্যাদি বিতরণ ও সংগ্রহ করা ঠিক নয়।
এক দুর্যোগ থেকে বাঁচাতে গিয়ে আরেক বিপদ যেন ডেকে না আনি সেটাও দেখতে হবে
ছবিসূত্র: বাংলানিউস ২৪