সবার জন্য চাই দুর্যোগের পূর্বাভাস সতর্কবার্তা

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের এই বছরের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ঃ “সবার জন্য দুর্যোগ সতর্কবার্তা” নিয়ে প্রথম আলো পত্রিকায় লিখেছেন গওহার নঈম ওয়ারা। (প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২২)

দুর্যোগের পূর্বাভাস ও সতর্কতার খবর এখনো পুরোনো কায়দায় প্রচারিত হয়। মানুষ বুঝল কি না, সেটি ভাবা হয় না।

এখন প্রযুক্তির যুগ। চারদিকে প্রযুক্তির জয়জয়কার। প্রযুক্তির কল্যাণে বিরূপ আবহাওয়া বা দুর্যোগের খবর আগাম জানা যায়। তিন দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস পুরোপুরি না হলেও মোটামুটি নিশ্চিত করা যায়। এক-দুই দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রায় ঘড়ির কাঁটা ধরে করা যায়।

অতীতের মতো মানুষ আকাশ দেখে আর তাপমাত্রা অনুভব করে আবহাওয়ার গতিপথ অনুমান করে না। ফলে আকস্মিক দুর্যোগে পড়ার ভয় অনেকটাই কমে গেছে। তবে এ তথ্য সঠিক সময়ে মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। সে জন্য দরকার দুর্যোগ মোকাবিলায় সঠিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা।

বুদ্ধিদীপ্ত একটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে নতুন কোনো ঝুটঝামেলা তৈরি হতে না দেওয়া আর বর্তমানের ঝুঁকিগুলো কমিয়ে আনা। অনেক সময় এসব কাজ রাতারাতি হাসিল করা সম্ভব হয় না। কখনো টাকার প্রশ্নে আটকে যায়, কখনো অন্যদের সঙ্গে সমন্বয় হয় না। অংশীজনেরা একমত হতে পারেন না। অবস্থাটা এমন, আট মণ ঘি জোগাড় করতে করতে নাচের আগ্রহ নিভে যাওয়া।

তবে কোনোভাবে যদি একটা জনবান্ধব প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়, তাহলে মানুষ নিজেই তার প্রস্তুতি দিয়ে প্রাণ, সম্পদ ও জীবিকার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে পারে। বদ্বীপের বাসিন্দা হওয়ায় ঝড়–জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, নদীভাঙন আমাদের নিত্যসঙ্গী। তবে এসব দুর্যোগের একটা মৌসুম আছে। অমাবস্যা, পূর্ণিমা, ভাদ্র, আশ্বিন, বৈশাখ, শ্রাবণ—এসব মাসে বা ক্ষণে তিথি মেনেই দেশে দুর্যোগ আসে। ফলে দুর্যোগের সঠিক তথ্য সময়মতো ঝুঁকিতে থাকা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া গেলে ত্রাণ নিয়ে একছুটে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর চাপ অনেকটা কমে যাবে।

১৯৮৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ দুর্যোগ মোকাবিলায় সদস্যরাষ্ট্রগুলোর কাছে কিছু সুপারিশ তুলে ধরে। এর মধ্যে রয়েছে দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম চিন্তাভাবনা। সারা দুনিয়ায় দুর্যোগের ঝুঁকির বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং বিপদ কমানোর চর্চাকে বাস্তবসম্মত ও ধারাবাহিকভাবে পরিশীলিত ও বেগবান করার লক্ষ্যে সুপারিশ উত্থাপন করা হয়।

এরপর থেকে সারা বিশ্বে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস দিবস’ পালন শুরু হয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এই দিবস সারা বিশ্বে সদস্যরাষ্ট্রগুলো যাতে একযোগে পালন করতে পারে, সে জন্য ২০০৯ সালে নির্দিষ্ট একটি তারিখ ঠিক করে দেয়। সিদ্ধান্ত হয়, প্রতিবছর ১৩ অক্টোবর সদস্যরাষ্ট্রগুলো একযোগে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস দিবস বা দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালন করবে। প্রতিবছর দিবসটির একটি নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য থাকবে।

এবারের প্রতিপাদ্য—early warning and early action for all. আমরা ছড়াধর্মী অন্ত্যমিল অনুবাদ করতে গিয়ে বাংলায় বলছি, ‘দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তা/ সবার জন্য কার্যব্যবস্থা।’

আজকাল কেদারা কবি বানায়। নিজের পিতাকে রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে বিভূষিত করে। শৌখিন অনুবাদকেরা কেদারার আশীর্বাদে অনুবাদের হাল ধরেন। এসব নানাবিধ তোষণ–পোষণমূলক চর্চার ফলে অনেক সময় প্রতিপাদ্য বিষয়ের মূল বাণীটাই আঁচলে মুখ ঢাকে অথবা অতিকথনের মেঘে ঢাকা পড়ে যায়। অনুবাদ যা–ই বলুক না কেন, মোদ্দা কথা হচ্ছে আসন্ন দুর্যোগের সতর্কবার্তা সবার কাছে সময়মতো পৌঁছাতে হবে। একই সঙ্গে দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য সবাই মিলে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। সঠিক সময়ে কাজে নেমে পড়তে হবে।

ভাসা–ভাসা পূর্বাভাসে দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা সাধারণ মানুষ প্রস্তুতি নিতে পারেন না। তাঁর কী করা উচিত, সেটি ঠাহর করতে পারেন না। সাম্প্রতিক কালে গত বছরের ডিসেম্বর আর এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে আচানক অকালবৃষ্টিতে কৃষকের কোমর ভেঙে গেছে। কৃষকের কাছে ক্ষতিকর বৃষ্টির খবর পৌঁছাতে না পারার বিষয়ে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটির পিএইচডি গবেষক মস্তফা কামাল প্রথম আলোর এক প্রশ্নের জবাবে এমন কথাই বলেছেন।

তাঁর মতে, যথেষ্ট সময়ের আগে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেশের মানুষের কাছে পৌঁছানোর ব্যর্থতা প্রমাণ করে, আবহাওয়ার গতি-প্রকৃতি বুঝতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ সীমাবদ্ধতা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে—যেমন প্রযুক্তিগত, মানবসম্পদ, আমলাতান্ত্রিক ইত্যাদি।

আবহাওয়াবিজ্ঞানে মানুষের জ্ঞান এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তিন দিনের পূর্বাভাস শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ নিশ্চিত করা যায়। এক-দুই দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস করা যায় প্রায় ঘড়ি-ঘণ্টা ধরে। গত ডিসেম্বরে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের আঘাতের ব্যাপারে কাঁটাতারের ওপারের (পশ্চিমবঙ্গ) জেলাগুলোতে পঞ্চায়েত ধরে ধরে বৃষ্টির খবর আর কৃষকের করণীয় নিয়ে মাইক বাজিয়ে বার্তা প্রচার করা হচ্ছিল। ঠিক একই সময় আমাদের এখানে ছিল সেই জাহাজের খবর, সাতক্ষীরা থেকে সেন্ট মার্টিন পর্যন্ত ৩ নম্বর সতর্কসংকেতের ভাঙা রেকর্ড।

জাতিসংঘের উদ্যোগ

আগাম সতর্কতা নিয়ে সদস্যরাষ্ট্রগুলোর লেজেগোবরে অবস্থা সেনদাই ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যমেয়াদি মূল্যায়নের (মিড টার্ম ইভ্যালুয়েশন) সময় নতুন করে সামনে আসে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ঠিক করেছেন, ২০২৩ সালের মে মাসে সাধারণ পরিষদের উচ্চপর্যায়ের যে বৈঠক বসবে, সেখানে তিনি বিষয়টি উপস্থাপন করবেন। এতে তিনি রাজনৈতিক সদিচ্ছার একটা স্বচ্ছ প্রতিশ্রুতি ঘোষণার বিষয়ে জোর দেবেন। গত মার্চে মহাসচিব ঘোষণা করেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস ব্যবস্থায় সুরক্ষা দিতে জাতিসংঘ এক নতুন পদক্ষেপের নেতৃত্ব দেবে।

জাতিসংঘের আগের যেকোনো মহাসচিবের তুলনায় আন্তোনিও গুতেরেস দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে অনেক বেশি আন্তরিক এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে ২০০৫ সালের জুন থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ছিলেন।

ওই সময় ইরাক ও সিরিয়ায় সংঘাত এবং দক্ষিণ সুদান, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র ও ইয়েমেন সংকটের কারণে তাঁর নেতৃত্বাধীন ইউএনএইচসিআরের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়। ২০০৫ সালে গুতেরেস শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের সময় সারা বিশ্বে বাস্তুচ্যুত মানুষ ছিল প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ। বাড়তে বাড়তে সেই সংখ্যা ৬ কোটিতে গিয়ে ঠেকে।

প্রতিটি সংকটে গুতেরেসের আন্তরিকতা আর জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থাপনা বিপন্ন মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। সংকটের অশনিসংকেত পাঠ ও তার মর্ম উদ্ধার করে আগে থেকে সাবধান হওয়ার যে সংস্কৃতি তিনি জাতিসংঘের চর্চার মধ্যে এনেছিলেন, সেটিকেই এখন তিনি সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চান।

আগের কথা

দুর্যোগ প্রশমন দিবসের এ প্রতিপাদ্য ঠিক হয়েছিল ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ। সেটি ছিল দুর্যোগ প্রশমন নিয়ে জাতিসংঘের তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন। জাপানের সেনদাইতে বসেছিল সেই সম্মেলন। তার আগে ধারাবাহিকভাবে আন্তসরকার সংলাপ চলেছিল। ২০১২ সালে শুরু হওয়া সেই সংলাপের উপসংহারে দুর্যোগের তীব্রতা কমাতে সাতটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে একটি বিষয় ছিল ‘মানুষের জন্য পূর্বাভাস’।

সঠিক সময়ে বোধগম্য পূর্বাভাস যে মানুষের অধিকার, সেনদাইয়ের সম্মেলনে সেটি স্বীকার করে নেওয়া হয়। সম্মেলনে বলা হয়, বিশেষ করে বিপদাপন্ন সব মানুষ আবহাওয়ার পূর্বাভাসসহ দুর্যোগ–সম্পর্কিত সব তথ্য যাতে সঠিক সময়ে তার নাগালের মধ্যে পায়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এই কাজ ২০৩০ সালের মধ্যে সদস্যরাষ্ট্রগুলো পাকাপাকিভাবে নিশ্চিত করবে।

তখন অনেকের কাছে মনে হয়েছিল, ১৫ বছর অনেক লম্বা সময়। তার আগেই রাষ্ট্রগুলো সব করে ফেলবে। অথচ এখন বাস্তবতা হচ্ছে বেঁধে দেওয়া সময়ের অর্ধেকটা পার হয়ে গেছে। কিন্তু সদস্যদেশগুলোর এ বিষয়ে তেমন হেলদোল নেই। জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস রাষ্ট্রগুলোর কর্মকাণ্ডের হতাশা আর আক্ষেপ থেকে নতুন পদক্ষেপের কথা ভাবছেন।

ফাঁকফোকর চিহ্নিত করে করণীয় নির্ধারণ

সিলেট সংকট আমাদের পূর্বসতর্কতার যেসব ফাঁকফোকর ছিল, সেগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। সেখান থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। বুঝতে হবে, পূর্বাভাসকে ‘সতর্কভাসে’ রূপ দিয়ে সেটা যথাসময়ে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে মানুষ নিজে থেকেই জানমাল রক্ষার কাজটি করতে পারে। এ ধারণা আর সত্যকে আমলে নিয়ে সেনদাই ফ্রেমওয়ার্ক পূর্বসতর্কতার ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছিল।

অধ্যাপক আইনুন নিশাত যেমন বলেন, ‘সতর্কতা ও পূর্বাভাস’—এ দুটি কথা কাছাকাছি মনে হলেও আসলে সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি বিষয়। তাঁর মতে, দেশে কোনো কোনো ক্ষেত্রে পূর্বাভাস ব্যবস্থা মোটামুটি ঠিকঠাক থাকলেও সতর্কব্যবস্থা সেভাবে গড়ে ওঠেনি। ক্ষেত্রবিশেষে কোনো কাজেই আসে না।

সাইক্লোন–জলোচ্ছ্বাসের ক্ষেত্রে আমাদের বর্তমান সতর্কতা জারি হয় জাহাজের ক্যাপ্টেন আর বন্দরের প্রশাসকের উদ্দেশে। ব্রিটিশ আমলে তৈরি এক আইনের ভিত্তিতে বন্দরকেন্দ্রিক সতর্কতা প্রচার করার রেওয়াজ এখনো চলছে। মানুষ তো বিপৎসীমার অর্থই বোঝে না। সতর্কতার নম্বর দিয়ে বিপদ বিবেচনা করলে হবে না। কারণ, এলাকাভিত্তিক সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্নের বিষয় রয়েছে। পুরোনো আমলের আইন দিয়ে এসব সতর্কতা কাজে আসছে না।

দূরবর্তী সতর্কসংকেত, দূরবর্তী হুঁশিয়ারি–সংকেত, স্থানীয় সতর্কসংকেত, স্থানীয় হুঁশিয়ারি–সংকেত, বিপৎসংকেত, মহাবিপৎসংকেত ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন–সংকেত ইত্যাদি নানা সংকেতের এক জটিল ঘেরাটোপ সাধারণ মানুষ কি পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারে? ৫ নম্বর বিপৎসংকেত কীভাবে ৬-৭ টপকে একবারে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত হয়ে যায়, তার কোনো অঙ্ক মহেশখালীর ধলঘাটা বা চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ছনুয়ার মানুষের বোধগম্য নয়।

কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের আগে তারে, বেতারে, মাইকে, মুঠোফোনে এসব সংকেতই প্রচার করা হয়। কোনো খরচ ছাড়াই ১০৯০ নম্বরে ফোন করলে ঝড়বৃষ্টির আগাম খবর আসে বটে। কিন্তু এই নম্বরে ফোন করেও সেই আগের বেতার ভাষণের মতো ‘দু-এক জায়গায় কোথাও কোথাও, কখনো কখনো বৃষ্টিপাত হতে পারে’ মার্কা কথা শোনা যায়।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি বিস্তৃত। পুরোনো নেতৃত্বকে ভাবতে হবে, এটিকে কীভাবে যুবনির্ভর আধুনিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা যায়। তথ্যপ্রযুক্তি অনেক দূর এগিয়ে গেছে, তথ্য এখন তরুণদের হাতের মুঠোয়। তাঁদের এ কর্মসূচিতে আকৃষ্ট করতে হবে; নেতৃত্বে আনতে হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞরা নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে জেনেছেন, মানুষকেন্দ্রিক পূর্বাভাস আর সতর্কবার্তা যেকোনো দুর্যোগে জীবন–জীবিকা ও সম্পদ রক্ষা আর ক্ষয়ক্ষতি কমাতে প্রভূত সাহায্য করে।

বাংলাদেশ ইতিমধ্যে নদীভাঙনের পূর্বাভাস দেওয়ার দক্ষতা প্রমাণ করেছে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) সক্ষমতাকে ব্যবহার করে ভাঙনপ্রবণ এলাকার মানুষকে নদীর গতিবিধির খবর পৌঁছে দেওয়ার একটা টেকসই পথ খুঁজতে হবে।

নজর রাখতে হবে উন্নয়ন উদ্‌গত দুর্যোগের দিকে, বিশেষ করে নগর দুর্যোগের দিকে। দেশব্যাপী ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনার কাজ শুরু হোক এখনই। নইলে নগর-গ্রাম কোনোটিরই শেষ রক্ষা হবে না।

Leave a Reply