স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যয় নিয়ে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় লিখেছেন গওহার নঈম ওয়ারা (প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৩)
তদন্তে দোষ নয়, ব্যবস্থার ত্রুটি খুঁজে উত্তরণের পথ খোঁজাই হলো জরুরি। মনে রাখতে হবে, আমরা আরেকটা তদন্ত করার সময় না–ও পেতে পারি। সেটাই হবে ‘স্মার্ট’ সিদ্ধান্ত।
জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যয়, দুর্যোগ প্রস্তুতি সব সময়।’ একেক বছরে একেকটা স্লোগান দিতে হয়। এটাও একরকমের স্মার্টনেস বোধ হয়। আজ ১০ মার্চ এ দিবস উদ্যাপিত হচ্ছে। মনে প্রশ্ন জাগে, ‘স্মার্টের’ মানে কী? বেশুমার যাত্রী নিয়ে লঞ্চে উঠব কিন্তু লঞ্চ ডুববে না, সেটাই স্মার্টনেস? অথবা মঞ্চের শক্তির কথা না ভেবে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘কেউ বাদ যাবে না’ বলে সবাইকে রাজনৈতিক নেতাদের মঞ্চে উঠতে দিলে সেটা হবে ‘স্মার্টনেস’!! স্মার্ট শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ কী হতে পারে? অভিধানে অনেকগুলো প্রস্তাব আছে। যেমন বুদ্ধিমান, জ্বালাময়, তীক্ষ্ণ, চটপটে, করিতকর্মা, ছিমছাম, রসবোধসম্পন্ন, বাবু, টনটন করা, উজ্জ্বল ইত্যাদি। ব্যাকরণ বলছে, ক্রিয়া অনুযায়ী শব্দ বেছে নিতে হবে।
স্মার্টনেস বোঝাতে প্রয়াত চীনা নেতা দেং শিয়াও পেং বলেছিলেন, বিড়ালটি সাদা না কালো সেটা নয়, দেখতে হবে ঠিক সময়ে ঠিক ইঁদুরটা ধরতে পারে কি না। পারলে সেটাই স্মার্ট বিড়াল। আমি তাকেই নেব, রং দেখে বাছাই করব না। দুর্যোগের ক্ষেত্রে স্মার্ট প্রস্তুতি হবে সেই প্রস্তুতি যা দুর্যোগকে প্রশমিত করবে আর ঝটপট সাড়া দেবে যেখানে যখন প্রয়োজন। অর্থাৎ করিতকর্মা এক ব্যবস্থা।
রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনার মধ্য দিয়ে আমাদের স্মার্টনেসের একটু মাপজোখ নেওয়া যাক। ৭ মার্চ বিকেল পাঁচটার দিকে একটি ভবনে এ বিস্ফোরণ হয়। স্বাভাবিকভাবে প্রথমে ছুটে আসেন স্থানীয় মানুষজন। কাউকে বাঁচাতে সারা দুনিয়ায় আশপাশের মানুষেরাই সবার আগে এগিয়ে যান। তুরস্কে সদ্য সাম্প্রতিক ভূমিকম্পেও সেটা ঘটেছে। সাভারের রানা প্লাজাতেও আমরা সেটা দেখেছিলাম। সাভারের পর একটা ভাবনা ঘুরপাক খেয়েছিল সমাজের বা কমিউনিটির এ সদা প্রস্তুত শক্তিকে কীভাবে আমরা ভিড় নয়, বরং কার্যকর এক শক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারি। আমাদের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় বেসামরিক প্রতিরক্ষা বা সিভিল ডিফেন্স দল গড়ে তোলা। তুরস্কের হোয়াইট হেলমেট দল সে রকমই এক সিভিল ডিফেন্স দল। এই দল সারা পৃথিবীতে উদ্ধারকাজ চালানোর শক্তি রাখে।
ভিড়কে উদ্ধারি শক্তিতে রূপান্তরের কাজটা কবে শুরু হবে? আমাদের ‘হেলমেট বাহিনী’ কি রাস্তার মারামারি আর খুনখারাবিতেই মত্ত থাকবে? রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকার ঘটনায় তারুণ্যের এমন অপচয়ের সাক্ষী হয়েছে রাজধানী আবার।
স্মার্টনেস দেখানোর জন্য তদন্ত কমিটিও হয়ে গেল ঝটপট। সংবাদকর্মীরা সদস্যদের নামধাম চাইলে বলা হলো পরে জানানো হবে। ব্যস্ত প্রধান অতিথি চলে যাবেন বলে যেমন ক্যামেরার সামনে অনেক পরের বিষয় আগেই সেরে ফেলা হয়, তেমনি যেন সব ব্যবস্থা। তদন্ত কমিটির কার্যপরিধি বা টার্মস অব রেফারেন্স কী তা কেউ জানল না। কিন্তু বলে দেওয়া হলো কমিটি আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে। এটা কেমন স্মার্টনেস?
এখন বলা হচ্ছে, বেজমেন্টে বেজমেন্টে অভিযান শুরু হবে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) জেগে উঠেছে। তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ভবনের বেজমেন্টে থাকা মার্কেটের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবে। আগামী সাত দিন এ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। যেসব ভবনের বেজমেন্টে মার্কেট রয়েছে, তার একটি তালিকাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
রাজউক নাকি এখন বুঝতে পারছে অনুমোদন নেওয়ার পর সঠিক নকশা মোতাবেক অনেক ভবন নির্মাণ করা হয়নি বা অনুমোদন না থাকার পরও যেসব ভবনের বেজমেন্টে মার্কেট বানানো হয়েছে, ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার জন্য তারা ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত। ইয়াহিয়া খানের দেওয়া ১৬ ডিসেম্বর রাতের ভাষণের মতো এখন তারা বলছে ‘জং জারি হ্যায়।’ ‘আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের’ আওতায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করার কাজ চলছে, চলবে। চিহ্নিত ভবনগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ রকম ‘ঝোপ বুঝে কোপ মারা মার্কা’ স্মার্টনেস দিয়ে কি কাজ হবে?
‘জেসিকাকে কেউ খুন করেনি, বিস্ফোরণও ঘটেছে আপনাআপনি’
বছর দশেক আগে বলিউডে একটি ছবি মুক্তি পেয়েছিল। ওই ছবিটির নাম ছিল নো ওয়ান কিলড জেসিকা। দিল্লির একটি পানশালায় মডেল জেসিকা লালকে সবার সামনে গুলি করে খুন করার পরও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রথমে যেভাবে সবাই আদালতে রেহাই পেয়ে গিয়েছিল, সেই সত্যি ঘটনার ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছিল সিনেমাটি।
ঢাকার আর দেশের ইমারতধসের ঘটনাগুলোর তদন্তের হাল দেখলে সে দেশের জেসিকা আর এ দেশের তনু, সাগর–রুনির কথা মনে পড়ে। এটা কোন ধরনের স্মার্টনেস?
২০২১ সালের ২৭ জুন সন্ধ্যার পর রাজধানীর মগবাজারের ‘রাখি নীড়’ নামের ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন দুই শতাধিক ব্যক্তি। ঘটনায় পরদিন ২৮ জুন অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে রাজধানীর রমনা থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করে পুলিশ। মামলার বাদী রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম।
গত বছর জানুয়ারি মাসে জানা গিয়েছিল, চার সংস্থার অসহযোগিতায় শেষ হচ্ছে না তদন্ত। দুই দফা চিঠি দিয়েও তিতাস, বিস্ফোরক পরিদপ্তর, পেট্রোবাংলা ও এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়ায় মামলার তদন্ত শেষ করা যাচ্ছে না। গতকাল পর্যন্ত অবস্থা তাই ছিল। এক বছর আট মাসেও শেষ হয়নি তদন্ত। তাই মামলায় কেউ গ্রেপ্তারও হননি।
তিতাস কেন কথা বলে না!
গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, মগবাজারের ঘটনায় পুলিশি তদন্তে তিতাসের গাফিলতি উঠে এসেছিল। পুলিশ সদর দপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটির অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
তদন্ত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো তখন জানিয়েছিল, তদন্তে মগবাজারের ওই তিনতলা বাড়ির নিচতলায় জেনারেটর রাখা কক্ষের নিচ দিয়ে তিতাসের একটি পরিত্যক্ত গ্যাসলাইন পাওয়া গেছে, যাতে গ্যাস সরবরাহ ছিল। লাইনের ছিদ্র থেকে নির্গত গ্যাস ওই কক্ষে জমা হয়। সেখানে কোনো কারণে বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ (স্পার্ক) থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তদন্তে এসেছে। জানা যায়, ২০১৪ সালে বিচ্ছিন্ন করা হলেও পাইপলাইনটি রহস্যজনক কারণে অপসারণ করা হয়নি। দুর্ঘটনার আগপর্যন্ত গ্যাসের লাইনটি সচল ছিল।
১৯৬৮ সালের অক্টোবর মাসে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমানের বাসায় প্রথম আবাসিক গ্যাস–সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হয়। সেই থেকে চলছে পাইপলাইনে ঢাকার গ্যাস সরবরাহ। এর মধ্যে চাহিদা বেড়েছে হাজার গুণ। পাইপ থেকে রান্নাঘর পর্যন্ত গ্যাস পৌঁছে দেওয়ার কাজটা করেন কোম্পানির নিবন্ধিত ঠিকাদারেরা। নতুন সংযোগ দেওয়া বন্ধ থাকায় ঠিকাদারদের আর সেই রমরমা নেই। এখন ঠিকাদারেরাই নানা ধরনের সাব ঠিকাদার নিয়োগ দেন, সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও পুনঃস্থাপন ইত্যাদির কাজ নাকি তাঁরাই করেন। তাঁদের কাজের গুণ–মান নিয়ে প্রশ্ন থাকাটাই স্বাভাবিক। আগামী বছর তিতাসের ৬০ বছর পূর্ণ হবে, এখন ৫৯ চলছে।
নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণেও তিতাসকে দায়ী করা হয়েছিল
২০২০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাতে এশার নামাজ চলাকালে পশ্চিম তল্লার মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে। সে সময় মসজিদে থাকা ৩৭ জনের পাশাপাশি একজন পথচারী ওই ঘটনায় দগ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে ৩৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন কেবল চারজন।
প্রথমে মসজিদের এসি বিস্ফোরণের কথা বলা হলেও পরে গ্যাস জমে দুর্ঘটনা ঘটার আলামত পান ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। মসজিদের পাশের সড়কের মাটি খুঁড়ে পরিত্যক্ত পাইপলাইনে ছয়টি ছিদ্র পাওয়ার পর সেগুলো বন্ধ করে তিতাস কর্তৃপক্ষ। তিতাসের ফতুল্লা জোনের চার কর্মকর্তাসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি, পরে তাঁদের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখতে পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ফায়ার সার্ভিস, জেলা প্রশাসন, তিতাস গ্যাস, ডিপিডিসি ও সিটি করপোরেশন। সেই তদন্তে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে থাকে অনিয়ম ও গাফিলতির নানা তথ্য। তিতাসের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮৭ সালে স্থাপন করা একটি লাইনের বদলে ১৯৯৮ সালে নতুন লাইনের সংযোগ পান কয়েকজন গ্রাহক। গ্রাহকের বাড়ির সামনে থেকে পুরোনো সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও তখন সড়কের মূল লাইন থেকে তা বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। পরে পরিত্যক্ত ওই লাইনের ওপর নির্মাণ করা হয় মসজিদ।
মাটির নিচে চাপা দিয়ে রাখা গ্যাস রাইজার এবং মসজিদ নির্মাণের সময় ক্ষতিগ্রস্ত পুরোনো বিতরণ লাইন থেকে গ্যাস বের হচ্ছিল। সেই গ্যাস মসজিদের বেজমেন্ট ভেদ করে ভেতরে গিয়ে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে জমা হয়। দুর্ঘটনায় এত মানুষের প্রাণ যাওয়ার পর তিতাস সেটা জানতে পেরেছিল। আগে কি কোনোভাবে সেটা জানা যেত না? গ্যাসের গন্ধ পাওয়ার অভিযোগ তো ছিল অনেক দিনের।
স্যায়েন্সল্যাব এলাকার ঘটনা ও তিতাস
৮ মার্চ যখন সব দৃষ্টি সিদ্দিকবাজারের দিকে, তখন গণমাধ্যমে খবর আসে সায়েন্সল্যাব এলাকার বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন থেকে গ্যাস বের হচ্ছে। দায়িত্বরত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন জানান, ‘সকালে ভবন থেকে গ্যাস বের হচ্ছে, এমন সন্দেহে তিতাসকে জানানো হয়। পরে তারা এসে মেশিন দিয়ে ভবনের আশপাশে ও ভেতরে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে তারা কিছু পেয়েছে কি না, আমাদের জানায়নি।’
সংবাদকর্মীরা যোগাযোগ করলে তিতাসের পক্ষে থেকে জানানো হয়, মূলত পুলিশের দেওয়া তথ্যে তাঁদের জরুরি সেবা বিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়েছিলেন বলে তাঁরা জেনেছেন। তবে কিছু পেয়েছেন কি না, তাঁরা বলতে পারবেন না।
তাহলে কে কখন বলতে পারবে? আমাদের দেশে কথায় কথায় কেন এসি বিস্ফোরিত হয়?
টিঅ্যান্ডটি বোর্ডের সাবেক চেয়ারাম্যান আনোয়ারুল আজিম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এসি আসলে একটি নিরাপদ যন্ত্র। ঠিকমতো ব্যবহার করলে এটি কখনোই বিস্ফোরিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ইলেকট্রিক শর্টসার্কিট বা অন্যান্য ত্রুটির কারণে এতে আগুন ধরে যেতে পারে, কিন্তু বিস্ফোরিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তারপরও আমাদের দেশে কেন এত এসি বিস্ফোরিত হয়?’ তিনি বলছেন, এসিতে যেসব গ্যাস ব্যবহার করে তৈরি করা হয়, সেগুলো ১০০ শতাংশ নিরাপদ। এগুলো নানা ত্রুটির কারণে গরম হতে পারে, কিন্তু এগুলোর কখনো বিস্ফোরণ হয় না।
স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে, তাহলে এসি বিস্ফোরণের ঘটনার পেছনে কারণ কী? এসির গ্যাস লিক হয়ে বের হয়ে গেলে তা কি সঠিকভাবে ভরা বা রিফিল করা হয়?
এবার একটা খোলামেলা তদন্ত হোক নির্দিষ্ট ‘টার্মস অব রেফারেন্সের’ ভিত্তিতে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। যাঁদের কোনো পক্ষ নেই, যাঁরা বিষয়গুলো সম্পর্কে জানেন, তাঁদের নিয়ে একটা দল গঠন করে এগোতে হবে। দোষ নয়, ব্যবস্থার ত্রুটি খুঁজে উত্তরণের পরামর্শ দেবে সেই দল। মনে রাখতে হবে, আমরা আরেকটা তদন্ত করার সময় না–ও পেতে পারি। সেটাই হবে ‘স্মার্ট’ সিদ্ধান্ত।